সিবিএন ডেস্ক ;
মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন থেকে পণ্য নিয়ে কক্সবাজারের টেকনাফ বন্দরের উদ্দেশ্যে আসা চারটি পণ্যবাহী জাহাজকে নাফ নদীতে আটক করেছে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি।
গত বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তবর্তী নাফ নদীর নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় তল্লাশির কথা বলে চারটি জাহাজ আটক করে আরাকান আর্মি। জাহাজগুলো এখনো তাদের হেফাজতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ স্থলবন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী।
জাহাজগুলোতে শুঁটকি, সুপারি, কফিসহ ৫০ হাজার বস্তা পণ্য ছিল, যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৪০ কোটি টাকা। এসব পণ্য আমদানি করেছেন ব্যবসায়ী শওকত আলী, ওমর ফারুক, মো. আয়াস, এম এ হাসেম, ও মো. ওমর ওয়াহিদসহ কয়েকজন।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, “মিয়ানমার জলসীমানা থেকে টেকনাফ বন্দরে আসার পথে পণ্যবাহী জাহাজ আটকের খবর শুনেছি। বিষয়টি আমি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।”
টেকনাফ স্থলবন্দরের এক আমদানিকারক বলেন, “প্রায় দেড় মাস পর আমরা পণ্য আমদানি করেছি। আরাকান আর্মি জাহাজগুলো আটকে দিয়েছে। মিয়ানমারের ব্যবসায়ীরা আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ করছে। আশা করি, দুই-একদিনের মধ্যে জাহাজগুলো ছেড়ে দেওয়া হবে।”
টেকনাফ স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল হক বাহাদুর বলেন, “মিয়ানমার থেকে আসার পথে নাফ নদীর মাঝপথে জাহাজগুলো তল্লাশির নামে আটক করেছে আরাকান আর্মি। এখনো জাহাজগুলো ছেড়ে দেওয়া হয়নি। মিয়ানমারের ব্যবসায়ীরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন।”
বন্দরের ব্যবসায়ী ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে জাহাজগুলো মুক্ত করতে প্রচেষ্টা চলছে। তবে আরাকান আর্মির কাছে জাহাজ আটকের ঘটনায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।
