বিশেষ প্রতিবেদক:
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব))ল মো. ইয়ামিন হোসেনকে দ্রুত অপসারণের দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলন। এ দাবিতে তারা কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেছে।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, দায়িত্ব পালনকালে এডিএম ইয়ামিন হোসেনের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। সমুদ্র সৈকতের ঝালমুড়ি বিক্রেতাদের থেকেও চাঁদা আদায়, প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটদের ব্যবহার করে ছাত্রআন্দোলন দমনে স্বৈরাচারী পদক্ষেপ এবং বিরোধী মতের ছাত্রদের ওপর নিপীড়ন চালানোর অভিযোগ উঠে এসেছে।
২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজারের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে ডিসি দায়িত্ব পালন করলেও, ক্ষমতার কেন্দ্রে ছিলেন এডিএম ইয়ামিন। স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ওই নির্বাচনে প্রশাসনের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দ্বারা নিশিরাতে ভোট ডাকাতি, ছাত্রদের গ্রেফতার ও নির্যাতনসহ বিভিন্ন অনিয়ম হয়েছে।
জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে উঠে আসে, সমুদ্র সৈকতের ঝালমুড়ি বিক্রেতাদের কাছ থেকে এডিএম ইয়ামিনের নির্দেশে চাঁদা আদায় করা হয়েছে। এসব চাঁদা আদায়ের জন্য বীচ কর্মীদের ব্যবহার করা হতো।
ছাত্র আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেন, আন্দোলন দমাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছাত্রলীগ ও পুলিশকে ব্যবহার করে গুলি, গ্রেফতার ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটানো হয়।
ছাত্রআন্দোলনের দাবিগুলো
স্মারকলিপিতে ছাত্রনেতারা কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি উত্থাপন করেন:
১. এডিএম ইয়ামিন হোসেনের দ্রুত অপসারণ।
২. আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রভাবশালী কর্মকর্তাদের শাস্তিমূলক বদলি।
৩. ছাত্রদের ওপর হামলায় জড়িত প্রশাসন, পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের কর্মীদের আইনের আওতায় আনা।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনের ব্যানারে একটি স্মারকলিপি পেয়েছি। তারা ৫ আগস্টের আগে যারা বিভিন্ন অনিয়মে জড়িত ছিলেন, তাদের অপসারণের দাবি জানিয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।”
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. ইয়ামিন হোসেন বলেন, “স্মারকলিপির বিষয়ে আমার হাতে এখনো কোনো কাগজ আসেনি। তাই গণমাধ্যমে কোনো মন্তব্য করতে চাই না।”
কক্সবাজারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনের দাবির প্রেক্ষিতে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে আলোচনা চলছে। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।