নিজস্ব প্রতিবেদক :

কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলায় মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত বিজয় মেলা নিয়ে স্থানীয় রাজনৈতিক দল ও গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। মেলার প্রস্তুতি ও কার্যক্রম সম্পর্কে পর্যাপ্ত তথ্যের অভাব এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর অবহিত না থাকার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে।

ডিসেম্বর মাসের শুরু থেকেই বিজয় মেলা আয়োজনের গুঞ্জন চললেও সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। বর্তমানে ঈদগাহ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে মেলার স্টল তৈরির কাজ চলছে। জানা গেছে, উপজেলা প্রশাসন দুই দিনের বিজয় মেলা আয়োজনের জন্য কমিটি গঠন করেছে, তবে কমিটির সদস্য কারা এবং কীভাবে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।

স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী এবং শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা অভিযোগ করেছেন, তাদের মেলার প্রস্তুতি বা কার্যক্রম সম্পর্কে কোনো তথ্য জানানো হয়নি। কেউ কেউ এটিকে জনসম্পৃক্ততার অভাব এবং প্রশাসনিক অস্বচ্ছতা হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবুল কালাম বলেন, “বিজয় মেলা সম্পর্কে আমাদের সঠিক কোনো ধারণা নেই। আমরা শুধু শুনেছি, সভাপতি এবং সেক্রেটারিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।”

জামায়াত নেতা সেলিম উল্লাহ জিহাদী এবং নুরুল আজিমও অভিযোগ করেন যে, তারা মেলার আয়োজন সম্পর্কে কোনো তথ্য পাননি। কিছু সূত্র দাবি করেছে যে, মেলার কমিটিতে বিভিন্ন দলের প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করা হলেও তাদের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা করা হয়নি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিমল চাকমা এ প্রসঙ্গে বলেন, “১৫ ও ১৬ ডিসেম্বর দুই দিনের জন্য মেলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে জনসমাগমের ওপর নির্ভর করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ইউএনও বিমল চাকমার যোগদানের পর থেকে তার বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। বিশেষ করে, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আহতদের স্মরণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল এবং গণমাধ্যমকর্মীদের আমন্ত্রণ না জানানো নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল।

সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে, প্রশাসনিক কার্যক্রমে স্বচ্ছতা এবং অংশগ্রহণমূলক পদক্ষেপের অভাব জনমনে অসন্তোষ সৃষ্টি করছে। তারা দ্রুত বিষয়টির সমাধান এবং প্রয়োজনীয় তদন্তের মাধ্যমে সুষ্ঠু সমাধানের দাবি জানিয়েছে।