হ্যাপী করিম, মহেশখালী প্রতিনিধি;
হোয়ানকে স্ত্রীকে মারপিট করে নির্যাতনের পর মাথার চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামী, শাশুড়ি ও শাশুড় বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় স্ত্রীকে নির্যাতনের পর স্ত্রী নয়ন মনি’কে আটকে রাখে শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
২৭ শে সেপ্টেম্বর বিকাল ৫টায় এ ঘটনা ঘটে উপজেলার মোহরাকাটা গ্রামে শামশুল আলমের পুত্র সোহেল এর বসতঘরে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় স্ত্রী বাদী হয়ে মহেশখালী থানায় স্বামী’কে প্রধান আসামি করে তিন জনের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করে।
ভুক্তভোগীর হরিয়ারছড়া গ্রামের সুজন মিয়া মেয়ের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকে নির্যাতনের শিকার হন গৃহবধূ। এরই মাঝে তাদের দাম্পত্য জীবনে দুজন মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়। সন্তানের দিকে তাকিয়ে নির্যাতন সহ্য করে নেয় ওই গৃহবধূ। এরপর ২৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে আবারও স্বামী সোহেল, শ্বশুর ও শাশুড়ি বাড়ির দরজা বন্ধ করে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে মারপিট নির্যাতন করে ব্লেড দিয়ে মাথার চুল কেটে ফেলে ওই গৃহবধূর।
ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ নয়ন মনি বলেন, এতদিন শুধু সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে আমার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সব নির্যাতন ও মারপিট সহ্য করছি। ভেবেছিলাম একদিন হয়ত আমার স্বামী ভালো হবে। কিন্তু আবারও আমার স্বামীসহ আমার শ্বশুরবাড়ির লোকজন আমার গলায় দাঁড়িয়ে পেঁচিয়ে নির্যাতন করতে থাকে। এতেও ক্ষান্ত হয়নি তারা। ব্লেড দিয়ে আমার মাথার চুলও কেটে দেয়। আজ আমার স্বামীর বাড়ি থেকে আমার দুই সন্তানসহ বাবার বাড়িতে রাখতে আসলে আমার মা-বাবাসহ প্রতিবেশীরা আমার এই অবস্থা দেখে আমার স্বামী পালিয়ে যায়। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
ভুক্তভোগীর মা বলেন, মেয়ের সুখের কথা ভেবে মেয়েকে সব কিছুই দিয়েছি। কিন্তু বিয়ে দেওয়ার পর থেকেই আমার মেয়েকে নির্যাতন করতেই থাকে। আমার মেয়েকে নির্যাতন ও মাথার চুল কাঁটার সুষ্ঠু বিচার চাই।
মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাইছার হামিদ বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।