নুরুল আলম সাঈদ, নাইক্ষ্যংছড়ি;

বান্দরবান পার্বত্য জেলার নাইক্ষ‍্যংছড়ি উপজেলার মায়ানমার সীমান্তবর্তী ঘুমধুমে পরিত্যক্ত অবস্থায় মালিক বিহীন ৫৫ হাজার পিছ ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করেছে।

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮ টার সময় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুমে কক্সবাজার ৩৪ বর্ডার গাড বাংলাদেশ ( বিজিবি)’র ঘুমধুম বিওপির বিশেষ টহল দল ঘুমধুমের বাইশফাঁড়ি বিওপি সদস্যদের অভিযানে সীমান্ত পিলার ৩৭নং এলাকার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কলা বাগান এলাকা থেকে মালিক বিহীন পরিত্যক্ত অবস্থায় ৫ হাজার ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করে।

অপর দিকে ২৬ সেপ্টেম্বর দুপুর ২টার সময় নাইক্ষ্যংছড়ি’র আওতাধীন ঘুমধুম বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত পিলার ৩২ থেকে উত্তর-পশ্চিমে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে জামালের ঘের নামক স্থান থেকে ঘুমধুম বিওপি’র বিশেষ টহল পরিত্যক্ত অবস্থায় মালিক বিহীন ৫০ হাজার পিছ বার্মিজ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত বার্মিজ ইয়াবা ট্যাবলেট গুলি ধ্বংসের জন্য কক্সবাজার ৩৪ বিজিবি এর ব্যাটালিয়ন সদরে জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানা যায়।

উল্লেখ্য,কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকা নাইক্ষ‍্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের সমস্ত সীমান্ত সুরক্ষার পাশাপাশি চোরাচালান প্রতিরোধে ব্যাপক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

উল্লেখ্য, উদ্ধারকৃত ইয়াবা ট্যাবলেট গুলি পার্শ্ববর্তী মিয়ানমার থেকে স্থানীয় চোরাকারবারিরা দুর্গম সীমান্ত পথ দিয়ে বাংলাদেশে এনে, সুযোগ বুঝে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচারের চেষ্টা করছিল। কিন্তু গোপন সংবাদের খবরে স্থানীয় বিজিবি সদস্যরা অভিযান চালিয়ে, উক্ত ইয়াবা গুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করতে সক্ষম হয় বলে সূত্রে জানা গেছে।

বিজিবি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অধিনায়ক লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মাশরুকী এর নেতৃত্ব বিওপির বিশেষ টহল দল এই অভিযান পরিচালনা করে।

এ দিকে শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টার সময় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বর্ডার গাড বাংলাদেশ ( বিজিবি)’ অভিযানে বাংলাদেশি বিভিন্ন প্রকার পণ্য সামগ্রী মালিক বিহীন অবস্থায় উদ্ধার করছে। জানা যায়,নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবির অধীনস্থ ভালুখাইয়া বিওপির টহল কমান্ডার হাবিলদার মো. লিটন মিয়ার নেতৃত্বে টহল দল বিওপি থেকে পশ্চিমে এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরে রাবার বাগান নামক স্থান থেকে বিভিন্ন প্রকার পণ্য সামগ্রী উদ্ধার করে। যার মধ্যে রয়েছে, ৯টি ল্যান্ড ফোন, ১১টি এ্যান্টেনা ক্যাবল তারসহ, ৬টি মোবাইল চার্জার, ১টি হেড ফোন, ৪টি কম্বল।

উল্লেখ্য,নাইক্ষ‍্যংছড়ি ১১ বিজিবির অধীনে সমস্ত সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবি কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলে জানা গেছে।