হ্যাপী করিম, মহেশখালী;
মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক জৈয়রকাটা এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগে দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে মুসল্লিগণ ও মহল্লাবাসী।
১২ ই সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) সকালে জৈয়রকাটা আব্দুল আলির ঘোনা জামে মসজিদের সামনে এলাকাবাসী’ র আয়োজনে এক সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় মুসল্লিগণ ও মহল্লাবাসী, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, দিনমজুরসহ সর্বস্তরের নারীরাও মসজিদ প্রাঙ্গণের বাহিরে উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে।
উক্ত মানববন্ধনে আব্দুল আলির ঘোনা জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আনছারুল করিম এর সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সেলিম উল্লাহ বলেন, আমরা বারবার আবেদন করার পরেও পল্লি বিদ্যুতের কর্মকর্তাগণ বিষয়টি আমলে না নেওয়ায় তাদের গাফিলাতির কারণে বিদ্যুৎ সংযোগ পাচ্ছি না। এতে করে মুসল্লিগণ মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়ে গরমের দিনে ও রাতে দের-শতাধিক মুসল্লি দুর্ভোগের শিকার হন। এ জৈয়রকাটা মানুষ চরম বিদ্যুৎ নিয়ে ভোগান্তিতে এমনকি এলাকাজুড়ে একমাত্র জামে মসজিদেও সংযোগ দেওয়া হয়নি এখনো। শুধু বিদ্যুতের অভাবে সাধারণ শিক্ষার্থী ডিজিটাল যুগ থেকে পিছিয়ে পড়ছে। এ সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যেই বক্তব্য রাখেন.. আব্দুল খালেক, শওকত, জাফর আলম, শাসকেরা বেগম, নুরুল নাহার প্রমুখ।
তারা বলেন, বঙ্গোপসাগর ঘেঁষা মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন থেকে সরকার হাজার হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয় করে থাকে। অথচ এই দ্বীপের মানুষ সামান্য বিদ্যুৎ সেবা থেকে বঞ্চিত। সরকারি ব্যবস্থাপনায় মহেশখালী পল্লি বিদ্যুৎ থাকলেও তা অল্পসংখ্যক বাসিন্দা পাচ্ছে না বিদ্যুৎ।
মহেশখালী পল্লি বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম নাজমুল হাসান জানান, সরকারি হাস খতিয়ানে জমিতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া নিয়ে বন বিভাগের অভিযোগ রয়েছে, মসজিদের বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।