ইমাম খাইর, সিবিএন:
মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ির বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে পাচারকালে অনুমান ১৫ কোটি টাকার বৈদ্যুতিক তার জব্দ করেছে নৌবাহিনী।

এ ঘটনায় জড়িত ৭জনকে আটক করা হয়েছে।

রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে এই অভিযান চালানো হয়েছে।

আটক পাচারকারীরা হলেন, মাতারবাড়ির মাইজপাড়ার বাসিন্দা মোঃ ছবিরের ছেলে প্লান এন্ড ডেভেলপমেন্ট কর্মকর্তা (পসকো) মাহমুদুল হক (২৩), চট্টগ্রাম ভাটিয়ারী খাদিমপাড়ার এবাদুল হকের ছেলে নিজাম উদ্দিন (৪২), সীতাকুণ্ড কুমিরা এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে মোহাম্মদ সেলিম (৪৭), ফেনী সোনাগাজী চরগণেশের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে জাকির হোসেন (৪৩), ফেনী পূর্ব সুধাপুরের জেবল হকের ছেলে নুরুল হক (৪০), ছাগলনাইয়া নাঙ্গলমোড়ের মজিবুল হকের ছেলে মোঃ ফারুক (৩২) ও নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জের মোঃ কামরুল (৪৫)।

এসব তথ্য কক্সবাজার নিউজ ডটকম (সিবিএন)কে নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই।

তারা সিবিএনকে জানিয়েছেন, মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রায় ১৫ কোটি টাকার তামার কেবল পাচার করার তথ্য পায়। এই খবরটি তারা নৌবাহিনীকে জানায়।পরে নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সৈয়দ সাকিব আহমেদের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৪ নং জেটিঘাট হতে বার্জে উত্তোলনকালে ৪০ ফিট ৪ টি কন্টেইনারসহ ৭জনকে আটক করে।

বিদ্যুৎকেন্দ্রের গুরুত্বপূর্ণ এই তারসমূহ চট্টগ্রামস্থ কোম্পানি ইকবাল মেরিন সম্পূর্ণ অবৈধভাবে বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বের করে জেটি ঘাটে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় প্রকল্প পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, প্রধান প্রকৌশলী মোঃ সাইফুল ইসলাম এবং প্রকল্পের সহকারী নিরাপত্তা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলফাজ হোসেন জড়িত বলে আটককৃতরা স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে ম্যানেজার (এডমিন) মিস্টার লির বক্তব্য জানতে ফোন করলে সিবিএনকে বলেন, “শনিবার আমার অফ ডে ছিল। এবিষয়ে আমি কিছুই জানিনা।”

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্প পরিচালক আবুল কালাম আজাদ দীর্ঘদিন ধরে একই কর্মস্থলে থাকার সুবাদে শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। পাচার থেকে শুরু করে বিভিন্ন দুর্নীতি, অপরাধকর্ম এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে হয়ে থাকে। প্রকল্পে কর্মরতরা অনেক তথ্য জানার পরও চাকুরি হারানোর ভয়ে প্রকাশ করে না। দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেটের তথ্য অনুসন্ধান করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের।