মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :
জন্ম নিবন্ধন জালিয়াতির মামলায় কুতুবদিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আজমগীর মাতবর ও একই ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ইমাম মুসলিম কে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) কক্সবাজারের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মামুন এর আদালতে জালিয়তির মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে বিজ্ঞ বিচারক শুনানি শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
কক্সবাজারের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশেক এলাহী শাহজাহান নুরী এ তথ্য জানিয়েছেন। মামলার উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি আরো জানান, কৈয়ারবিল ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা মেম্বার হাসিনা আক্তারের পুত্র মিজানুর রহমান স্থানীয় আজিম উদ্দিন ও আফরোজা নাজমীন এর ১৫ বছর বসয়ী কন্যা তাসফিকুল আজিম নওরীন কে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করা হয়। যার নম্বর জিআর : ২১/২০২৪ ইংরেজি। ইতিমধ্যে, অপহৃত কিশোরীর জন্ম নিবন্ধন পর পর ২ বার জালিয়াতি করে কিশোরীর জন্মসাল ২০০৯ সালকে ২০০৫ সাল বানিয়ে কিশোরীর বয়স ১৮ বছরের উর্ধ্বে উল্লেখ করে প্রতারণা পূর্বক অপহৃত কিশোরীর নামে একাধিক জন্ম নিবন্ধন সৃজন করা হয়। জালিয়াত করে সৃজন করা জন্ম নিবন্ধন নিয়ে একটি কাবিননামাও সম্পাদন করা হয়। এ প্রতারণার বিরুদ্ধে অপহৃতা কিশোরীর মা আফরোজা নাজমীন কৈয়ারবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সচিব সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে জালিয়াতির মামলা দায়ের করলে চেয়ারম্যান ও সচিব এ মামলায় হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন লাভ করেন। আগাম জামিনের মেয়াদ শেষে চেয়ারম্যান ও সচিব উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মতে, কক্সবাজারের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মঙ্গলবার নিয়মিত জামিন আবেদন করলে বিজ্ঞ বিচারক আবদুল্লাহ আল মামুন আবেদনটি শুনানি করে জামিন আবেদন নামঞ্জুর পূর্বক তাদের জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। বিজ্ঞ আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করার পর কৈয়ারবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আজমগীর মাতবর ও একই ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ইমাম মুসলিমকে সি. ডাব্লিউ মূলে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন, কক্সবাজার সিজেএম আদালতের বেঞ্চ সহকারী শহীদুল ইসলাম।
