দেলওয়ার হোসাইন, পেকুয়া :
চট্টগ্রামে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘর্ষে নিহত কক্সবাজারের পেকুয়ার ছেলে ও ছাত্রদল নেতা ওয়াসিম আকরামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। নিহতের খবর পেয়ে তার গ্রামের বাড়িতে কান্নার রুল পড়ে গেছে। শোকে কাতর হয়ে বার বার মুর্ছা যাচ্ছেন তার মা জোৎসা আকতার ও তার ভাই-বোনেরা। স্বজনদের কান্নায় আকাশ ভারি হয়ে উঠেছে।
চট্টগ্রামের কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত ওয়াসিম আকরামের মরদেহ আজ বুধবার ভোরে তার গ্রামের বাড়িতে পৌঁছলে, পেকুয়া ও তার বাড়িতে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। তার মা, ভাই, বোন ও আত্মীয়স্বজনের কান্নায় পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। বেলা সাড়ে এগারোটায় মেহেরনামা বাগগুজারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ওয়াসিমের জানাজার নামাজে হাজারো মানুষের ঢল নামে। জানাজার পর মুরার পাড়া পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
ওয়াসিম আকরামের মা জোৎসা আকতার বিলাপ করতে করতে বার বার মুর্ছা যাচ্ছিলেন। তার পরিবারও আদরের ছেলেকে হারিয়ে শোকে মুহ্যমান।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নিহত ওয়াসিম আকরামের সৌদি প্রবাসী পিতা শফিউল আলম ও মা জোৎসনা আক্তারের দুই ছেলে ও তিন মেয়ে মধ্যে ওয়াসিম দ্বিতীয় ছিলেন।
২০১৭ সালে কক্সবাজারের পেকুয়া সদর ইউনিয়নের মেহেরনামা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ২০১৯ সালে বাকলিয়া সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করার পর চট্টগ্রাম কলেজে সমাজ বিজ্ঞান বিভাগে অনার্সে ভর্তি হন। ওয়াসিম চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।
জানাজায় উপস্থিত মুসল্লীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন পেকুয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ রাজু, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক সালাউদ্দিন, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. বেলাল হায়দার, উপজেলা যুবদলের সভাপতি কামরান জাদিদ মুকুট, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান মন্জু প্রমুখ।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে চট্টগ্রামের মুরাদপুর এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সাথে ছাত্রলীগের সংঘর্ষে ওয়াসিম আকরাম (২২) নিহত হন।
