শেফাইল উদ্দিন :

কক্সবাজারের চকরিয়ায় উপজেলার খুটাখালীতে কাগজ পত্র জালিয়াতি করে মোটা অংকের টাকায় এনআইডি কার্ড বানানোর অভিযোগ উঠেছে এক রোহিঙ্গা নাগরিকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে চকরিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, রোহিঙ্গা নাগরিক মোহাম্মদ রহমান প্রায় ৮ বছর আগে খুটাখালী গর্জনতলী এলাকার (৪ নং ওয়ার্ড) মৃত ছৈয়দ আলমের স্ত্রী নুর জাহান বেগমের বাড়িতে কৌশলে আশ্রয় নেয়। সে পরিবারে কর্তা না থাকার সুযোগ নিয়ে টাকা পয়সা করছ করে পরিবারের সকল কে আপন করে নেয়। নিজের আত্মীয় স্বজনের মতো সে বাড়িতে থাকে এবং আসা যাওয়া করে। এরই মধ্যে তার সাথে সখ্যতা গড়ে উঠে জালিয়ত চক্রের সিন্টিকেটের সাথে। এক পর্যায়ে মোটা অংকের টাকায় জালিয়াতির মাধ্যমে সে বাংলাদেশী এন আই ডি কার্ডের মালিক হয়। তার এন আইডি নং-৯৫৮৩০১০৭৫৭ । এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়।
এ ঘটনায় ০৮/০২/২৪ ইং একই এলাকার আব্দুল গনির ছেলে আব্দুল খালেক বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।

এ ব্যাপারে আবেদনকারী আব্দুল খালেকের সাথে কথা হলে অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন। সে রোহিঙ্গা নাগরিক এবং ইয়াবা ব্যবসায়ী সেটা এলাকার লোকজন সবাই জানে। তবে তার টাকার কাছে অনেকে জিম্মি।সে মোটা অংকের টাকায় কাগজ পত্র জালিয়াতি করে এন আই ডি কার্ড তৈরি করেছে। আমি একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে তদন্ত পূর্বক এ রোহিঙ্গা নাগরিকের এন আই ডি কার্ড বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।
অভিযুক্ত মোহাম্মদ রহমানের সাথে মোবাইলে বার বার যোগাযোগ করে পাওয়া না যাওয়ায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে যে বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে সে বাড়ির মালিক মৃত ছৈয়দ আলমের স্ত্রী নুর জাহানের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তার মেয়ে ফোন রিসিভ করে বলেন। মোহাম্মদ রহমান কে ফোন দেয়া যাবে না। আমার সাথে কথা বলেন। অভিযোগ উঠা রোহিঙ্গা নাগরিক মোহাম্মদ রহমান কে সে চাচা বলে দাবি করেন।

এ ব্যাপারে খুটাখালীর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমি চেয়ারম্যান হওয়ার আগে থেকে খুটাখালীর ৪ নং ওয়ার্ড সহ অন্যান্য ওয়ার্ডে অসংখ্য রোহিঙ্গা নাগরিক রয়েছে। এরা এন আইডি কার্ড বানিয়েছে। এ গুলো আমার সময়ের আগে। অভিযোগ উঠা রোহিঙ্গা নাগরিকের বিষয়ে আমি জানি না ।স্থানীয় মেম্বার জানতে পারে।
স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার ছৈয়দ আলমের সাথে কথা হলে জানান, আমার ওয়ার্ডে অসংখ্য রোহিঙ্গা নাগরিক রয়েছে। এরা অনেকে এন আইডি কার্ড বানিয়েছে। এরা কি ভাবে এন আইডি কার্ড বানিয়েছে এ গুলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে।
এলাকার লোকজন জানান, রোহিঙ্গাদের কারণে এলাকায় বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। লোকজন বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় হয়রানি হচ্ছে। সচেতন মহল এ সব রোহিঙ্গা নাগরিকের এন আইডি কার্ড বাতিল করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।