-সাদমান সাকিল

তুলসীগঙ্গা নদীর মারসুপিয়াল আঁচলে শুয়ে থাকা
একটি শাপলাপাতা মাছ
পৃথিবীর সর্বশেষ নৌকাটি ভেঙে যেতে দেখে।
আর দেখে-
একটি বিষন্ন কালো গোলাপ
বেগুনী আগুনে পুড়ছে।
ঈশান আকাশে একরাশ মেঘ।
কিছু যদি বৃষ্টি হতো-
এই আকাঙ্ক্ষার আনন্দে
একটি বিষন্ন কালো গোলাপ-
হাসছে।

যোগ্যতমের কান্না বাজে চারদিকে-
বুকের ভেতর একটি রক্তাক্ত ক্যাঙ্গারু লাফায়,
কাঁধে মৃত চিতাবাঘ,
মস্তিকে উড়ে কালিন্দী নদীর মুমূর্ষু ঢেউয়ের মতো মৃত গান।
আজ শহুরে বিকেলের আকাশে অনেক চিল ছিলো।
এই চিল-সব দেখে
একটি পোস্ট-নাটাল বিলিম্বি ফলের
মনে হচ্ছিলো-
আকাশটা কোনো এক অতৃপ্ত মিজো রমণীর সুডৌল শরীর,
আর চিলগুলো সব সেই শরীরে হেঁটে চলা কালো তিল।

অবসন্ন মাংসের উৎসবে সহস্র ডেমোজিল সারসের ঝাঁক,
রেমা কালেঙ্গা’র মেরুনরঙা প্লাসেন্টার গভীরে
একটি মেটে ধনেশ একটি জন্মান্ধ ঘড়িয়ালের সাথে কথা বলে-

“আমরা দুজন গভীরভাবে একজন হয়ে যদি
একটা গভীর ঘুমে তলিয়ে যেতে পারতাম!
পৃথিবীর সর্বশেষ নৌকাটি কেন ভেঙে ফেলি আমরা?
মাঝে মাঝে অভাবই মানুষের তীব্রতম চাহিদা হয়ে উঠে…”

—————————————————-

সাদমান সাকিল
প্রতিষ্ঠাতা,
ঢাকা বিশ্ববিশ্ববিদ্যালয় সাহিত্য সংসদ।