আব্দুস সালাম,টেকনাফ:
কক্সবাজারের টেকনাফ পৌরসভা, বাহারছড়া ও সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদ সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষ্যে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাচন অফিস এ সভার আয়োজন করে। এতে টেকনাফ পৌরসভা, বাহারছড়া ও সেন্টমার্টিনদ্বীপ ইউনিয়নের মেয়র, চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত আসনের মহিলা ও সাধারণের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীগন উপস্থিত ছিলেন।
রবিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকালে নব-নির্মিত উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নিবাহী অফিসার পারভেজ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ ও বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান, উখিয়া সার্কেল এএসপি শাকিল আহমদ ও জেলা নির্বাচন অফিসার এসএম শাহাদাত হোসেন। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বেদারুল ইসলামের সঞ্চালনায় এবং ২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ দফা অনুষ্ঠিতব্য পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ সংক্রান্ত বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন তথ্য—উপাত্ত উপস্থাপন করা হয়। এতে বক্তব্য রাখেন টেকনাফ পৌর সভার মেয়র প্রতিদ্বন্দ্বী মো. ইসমাইল, হাজী মো. ইসলাম, কাউন্সিলর প্রতিদ্বন্দ্বী হোসাইন আহমদ, সাইফ উদদীন মোঃ মামুন, সেন্টমাটিনদ্বীপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রতিদ্বন্দ্বী আলহাজ¦ নুর আহমদ, জাহেদ হোসেন, বাহারছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রতিদ্বন্দ্বী আবদুর রহমান বাহার, মাও. আজিজ উদদীন, আমজাদ হোসেন খোকন, মেম্বার প্রতিদ্বন্দ্বী সৈয়দ হোসেন, সোনা আলী ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের ১ ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান প্যানেল চেয়ারম্যান আনোয়ারা বেগম। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা তাঁদের বক্তব্যে অভিযোগ এনে বলেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীগণ ঘর ও গাড়ি ভাংচুর, সহিংসতা, ভয়ভীতি প্রদর্শন, ভোট কেন্দ্র দখলসহ নানা ধরনের হুমকি ও ধমকি দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করে যাচ্ছে’।
প্রধান ও বিশেষ অতিথি বলেন, ‘নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে এতে কোন সন্দেহ নেই। নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলুন। শুধু মাত্র হুমকি—ধমকিমূলক আলোচনা করবেননা। যারা নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করবে তাদের কিন্তু রক্ষা নেই। প্রতিপক্ষ যেই হোক না কেন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সোচ্চার ভূমিকা পালন করবে। মাদক কারবারি. চোরাকারবারি ও যে কোন মামলার আসামি হোক না কেন অবিলম্বে তাদের গ্রেফতার করা হবে’।