হ্যাপী করিম, মহেশখালী :
মহেশখালী টু কক্সবাজার পারাপারে দ্রুত সড়ক সেতু নির্মাণের দাবীতে ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কাফনের কাপড় গায়ে জড়িয়ে অনশন পালন করছেন মহেশখালী উন্নয়ন পরিষদের প্রতিষ্ঠাকালীন সহ-সভাপতি, শিক্ষক ও সাংবাদিক আমিনুল হক। পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী আজ (১৩ ই নভেম্বর) শনিবার সকাল থেকে এ অনশন শুরু করেন তিনি।

দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে মহেশখালী টু কক্সবাজার স্বপ্নের সড়ক সেতু নির্মাণে জেলা’সহ দেশের দ্বীপ অঞ্চলে ৫ লক্ষ মানুষকে এতদিন বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিল বঙ্গপোসাগরের বিপুল জলরাশি। উন্নয়নের সামনে যে সেতু এতকাল দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছে সেই স্বপ্নের সেতু বাস্তবায়ণের দাবীতে আমিনুল হক বলেছেন, একটি সেতুর অপেক্ষায় ছিলেন অবহেলিত দক্ষিণাঞ্চলের মহেশখালীর মানুষ। তাই অঞ্চলের মানুষের জন্য সেতুটি নির্মান হলে মহেশখালী-কক্সবাজারের সঙ্গে রাজধানীর যোগাযোগ ব্যবস্থার যে উন্নতি ঘটবে, তা ব্যবসা-বাণিজ্যের বিপুল প্রসার ঘটাবে।এই অঞ্চলের অর্থনীতির যে সম্ভাবনাটি আছে সেটির দুয়ার খুলে যাবে। কক্সবাজারের সঙ্গে দ্রুতগতির যোগাযোগ গ্যাস-বিদ্যুৎ সুবিধা বিনিয়োগের পরিবেশ-সবকিছুই চলে আসবে হাতের নাগালে। এই সেতু শুধু দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনই করবে না, কক্সবাজার পর্যটনশিল্প নগরীর সঙ্গে পুরো দেশকে গেঁথে দেবে অর্থনৈতিক উন্নয়নের এক সুতোয়।

বর্তমান সময়ে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার দেশকে উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যেসব উন্নয়ন হয়েছে তা দৃশ্যমান। উন্নয়নের সরকার মানেই শেখ হাসিনার সরকার। উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত থাকলে কক্সবাজার-২ মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সাংসদ আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক নেতৃত্বে ভাগ্যের চাকা ঘুরে যাবে দ্বীপ অঞ্চল মহেশখালী টু কক্সবাজার সেতু নির্মাণে দেশের দক্ষিণঞ্চলের সাধারণ মানুষের ঘটবে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার।

শিক্ষক ও সাংবাদিক আমিনুল হক কাফনের কাপড় গায়ে জড়িয়ে অনশনে আরো বলেন, আমাদের এই অঞ্চলের মানুষের বেকারত্ব দূর হবে। মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে। অর্থনীতির উন্নয়ন হবে। এছাড়া এখানে ইকো পার্ক তৈরি হবে ইতোমধ্যে সেতুকে ঘিরে, মহেশখলীতে গড়ে উঠতে শুরু করেছে পর্যটনশিল্প ইকো পার্ক ও কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের কল-কারখানা। পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগসহ উৎপাদনে লবন, মৎস্য, কৃষি বাণিজ্যের বিপ্লবের অপার সম্ভাবনা হাতছানি দিচ্ছে।