তাওহীদুল ইসলাম নূরী:
দিন দিন দেশে ক্রমাগতহারে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও এতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে চলছে। সাম্প্রতিক সময়ে এই মহামারির ভয়াল রূপ আমাদের সকলের কমবেশি জানা। দেশে গত দুই দিনে আক্রান্ত ও মৃত্যুতে আগের সকল রেকর্ড পার হতে দেখা গেছে করোনায়। গত ২৭ জুন সারাদেশে ৫২৬৮ জন আক্রান্ত ও ১১৯ জন প্রাণ হারায়। যেটি মহামারি করোনার শুরু থেকে সর্বোচ্চ মৃত্যুর সংখ্যা। এর পরের দিন অর্থাৎ ২৮ জুন আবার নতুন করে ৮৩৬৪ জন আক্রান্তের পাশাপাশি ১০৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই দিনের আক্রান্তের সংখ্যা আগের সকল রেকর্ডকে ছাড়িয়ে যায়। এ পরিস্থিতিতে লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। যদিও এর আগে কয়েক দফা লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল কিন্তু জনগণের মধ্যে তেমন সচেতনতা চোখে পড়ে না। আসলে লকডাউন, শাটডাউন নয় সচেতনতাই করোনা থেকে বেঁচে থাকার উপায়।

আগের লকডাউনগুলোকে যেমন আমরা গুরুত্বের চোখে দেখি নি, এবারের লকডাউনকেও তোয়াক্কা না করেই যে যার যার মত করে চলছি। বরং মুখে মাস্কটা পর্যন্ত না লাগিয়ে লকডাউন, শাটডাউন এবং করোনাকে তামাশার বিষয় মনে করছি। তাইতো অনান্য দেশগুলোতে প্রথম পর্যায়ে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু বেশি হলেও তারা যেভাবে অল্প সময়ে নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে, আমাদের দেশে প্রথম দিকে তেমন আক্রান্ত না হলেও প্রায় দেড় বছর ধরে আমরা করোনা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছি না। কারণ, যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সচেতন এবং সতর্কতার সাথে পথ চলা ছাড়া করোনার এই ভয়াল তরী পাড়ি দেয়া কস্মিনকালেও সম্ভব নয়। এ পর্যন্ত (২৮ জুন) দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮ লাখ ৯৬ হাজার ৭৭০ জন এবং প্রাণ হারিয়েছেন ১৪ হাজার ২৭৬ জন। অথচ, মৃত্যু দূরের কথা আমরা কেহই চাই না নিজে অথবা অপর কেউ আক্রান্ত হই। কিন্তু, আমাদের অসেচতনতা বার বার আমাদের কঠিন ইতিহাসের সাক্ষী বানিয়ে যাচ্ছে। তাই আসুন, সচেতন ও সতর্ক হই। নিজের জন্য, পরিবার, দশ ও দেশের কল্যাণে,…

তাওহীদুল ইসলাম নূরী
আইন বিভাগ (অধ্যয়নরত),
আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম।
শাহারবিল বাজার, চকরিয়া, কক্সবাজার।