আতিক সুজন:
হৃদয়ের অকর্ষিত ভূমিতে একদা যে বীজ বুনেছি তা অঙ্কুরিত হয়নি এখনো ;
তোমাদের এই শহরতলির সেমি-রোবটিক যান্ত্রিক জীবনে সেই সুযোগইবা কোথায় ?
যেখানে নিযুত নিয়ন লাইটের ঝলসানো আলো
হরণ করেছে রজনীর সতীত্ব !
এখানে আকাশ ছোঁয়না বন-বীথিকা,পাহাড়ের চূড়া কিংবা শুকনো নদীর তলপেট ;
এখনো তাই অভ্যস্ত হইনি হাজারো কৃষ্ণকায় কাকেদের ব্যবচ্ছেদে মানিয়ে নিতে নিজেকে
পল্লী গাঁয়ের কোনো রূপসী বালিকার দিকে
অসতর্ক চাহনিতে যে চোখ যুগল বিবর্ণ হতো লজ্জায়__
এখনো তা অভ্যস্ত হয়নি ইট পাথরের এই নগরীর যত্রতত্র সুন্দরীদের আনাগোনা দেখতে ;
ফুটপাতে হোটেল-মোটেল কিংবা শহরতলির পার্কগুলোতে রিজুভিনেট তরুণ তরুণীদের বেশরম উপস্থিতি দেখতে অভ্যস্ত হইনি এখনো !
পল্লী গাঁয়ের নিষন্ন পাখির নীড়ে যে ভালোবাসার ফেনোচ্ছ্বাস দেখেছি
নগরীর চুন-সুরকির পাষাণ দেয়ালে তা যেন বড় বেশি দুর্লভ !
অথচ ক্ষতের ক্ষরণ থামাতে,বীজের অঙ্কুর গজাতে ;
বিশ্বাসের একটু অনুকূল ছায়া যে বড় প্রয়োজন ৷