এফ এম সুমন, পেকুয়া , ( কক্সবাজার) :

পেকুয়ায় করোনা ভাইরাসের সর্তকতায় হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা মানুষের খোঁজ খবর নিচ্ছেন এবং সাথে ত্রাণ নিয়ে মানুষের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাঈকা শাহাদাত। মানুষের এই চরম বিপদে ত্রাণ নিয়ে মানুষের বাড়ি বাড়ি যাওয়ায় তাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন স্থানীয়রা। জানা যায়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইতোমধ্যেই উপজেলার সদর, উজানটিয়া, মগনামা, টৈটং বারবাকিয়া শিলখালী সহ ৭টি ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় নিজে গিয়ে ঘরে থাকা মানুষের হাতে, চায়ের দোকনিকে ডেকে রাস্তার রিকসা চালককে ডেকে ডেকে এই ত্রাণ তুলে দিচ্ছেন। তাছাড়া উপজেলার গহীন পাহাড়ে বসবাস করা রাখাইন পাড়ার ৩৪টি পরিবার ও উপজেলার সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারে সরকারের দেয়া সহযোগীতা নিজে গিয়ে তাদের হাতে তুলে দিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি মহেশখালীতে বজ্রপাতে নিহত পেকুয়া টৈটং ধনিয়াকাটার লবণচাষী মুস্তাফিজুর রহমানের পরিবারের কাছে গিয়ে তিনি নিজহাতে ত্রাণ ও অর্থ সহায়তা তুলে দেন তিনি। ত্রাণ পাওয়া মগনামার বাসিন্দা রহিমা আকতার ও খালেদা বেগম বলেন, আমরা সত্যি অবাক হয়ে গেলাম উপজেলার ইউএনও আপা নিজেই এসে আমাদের ঘরে ত্রাণ দিয়ে গেলেন। রহিমা, খালেদার মতো আরো অনেক ত্রাণ পাওয়া স্থানীয়রা জানান, ইউএনও আপা এভাবে আমাদের বাড়িতে আসবে কল্পনাও করিনি। হঠাৎ এসেই তিনি আমাদের কুড়ে ঘরে পা রাখলেন আর আমাদেরকে সতর্ক থাকতে বললেন এবং হাতে চাল ডাল তুলে দিলেন। ইউএনওর এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয় সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। তারা বলছেন ইউএনও পেকুয়া সত্যিকার অর্থে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তারা আরো বলেন, প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা সারাদেশে এমন আচরণ করলে দেশটা দ্রুত পরিবর্তন হয়ে যাবে। এই সময় মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে ত্রাণ পৌঁছে দেয়া সত্যিই প্রশংসনীয় উদ্যোগ বলে মনে করছেন তারা। এই বিষয়ে, নির্বাহী অফিসার সাঈকা শাহাদাত বলেন, এটা আমার ডিউটি সরকারের দেয়া ত্রাণ সামগ্রী আমি পৌছে দিচ্ছি। আর চেষ্টা করছি আমরা সবাইকে দিতে, আশা করছি কোননা কোন ভাবেই প্রায় সকলের কাছে কিছুনা কিছু পৌছে দিতে। উপজেলার ৭টি ইউনয়নের মধ্যে চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে সকলকে এ আওতায় আনবেন বলে জানান। তবে এই কাজে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানান এবং সবাইকে ঘরে থাকার অনুরোধ জানান তিনি। উল্লেখ্য যে, ইউএনও সাঈকা শাহাদাত কিছুদিন আগেও মাস্ক পরা স্থানীয়দের হাতে ফুল দিয়ে বেশ প্রশংসিত হয়েছিলেন। তার ফুল দেয়া ছবিগুলো ফেইসবুকে ভাইরাল হয়েছিল। সবাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার এমন কাজকে স্বাগত জানিয়েছিলেন।