নিজস্ব প্রতিবেদক
কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা পূর্বখরুলিয়া সিকদারপাড়া থেকে অপহৃত স্কুল ছাত্রী ফারিয়া রহমান সুমাইয়াকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় অপহরণের ঘটনার মূল হোতা মো. আরমান এস (২৫)সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
৪ মার্চ বিকালে সদর মডেল থানার পুলিশ উপপরিদর্শক (এসআই) মোহা: আরিফ উল্লাহর নেতৃত্বে রামুর ফতেখারকুলের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আসামীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। আসামী মো. আরমান পূর্ব খরুলিয়া হিন্দুপাড়ার বাসিন্দা মৃত শামসুল আলমের ছেলে। এর আগে গত ১৯ ফেব্রুয়ারী অভিযোগের ভিত্তিতে কফিল উদ্দিন (২৫) নামের একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সে একই এলাকার হাফেজ আহমদের ছেলে। এজাহারভুক্ত বাকী আসামীরা পলাতক রয়েছে।
ভিকটিম ফারিয়া রহমান সুমাইয়া খরুলিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেনীর ছাত্রী।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যায় প্রাইভেট থেকে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে তুলে নিয়ে যায় চিহ্নিত দুর্বৃত্তরা।
এ ঘটনায় ২০ ফেব্রুয়ারী কক্সবাজার সদর মডেল থানায় ৫ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা করেন ভিকটিমের পিতা ফজলুর রহমান। অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয় আরো ৫ জন। যার থানা মামলা নং-৬২/১৭৬। গ্রেফতার ২ আসামী বাদে বাকী আসামীরা হলো- পূর্ব খরুলিয়া হিন্দুপাড়ার বাসিন্দা শামসুল আলমের স্ত্রী মিনুয়ারা বেগম (৪৫), পূর্ব খরুলিয়া মুন্সিরবিলের এতেছানুল হক প্রকাশ ধলুর ছেলে আনোয়ার হোসেন (২২) ও একই এলাকার মৃত ছালেহ আহমদের ছেলে আরফাত (২৩)।
এ বিষয়ে অভিযানকারী সদর মডেল থানার পুলিশ কর্মকর্তা মোহা: আরিফ উল্লাহ জানান, স্কুল ছাত্রী অপহরণ প্রধান স্থান পরিবর্তন করে একেক সময় একেক জায়গায় অবস্থান করায় গ্রেফতার করা সম্ভব হয় নি। অবশেষে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রামু থানা পুলিশের সহায়তায় প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেখানো তথ্য মতে একটি বাড়ি থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় সন্দেহভাজন আরো ২ জনকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। প্রধান আসামী মো. আরমানের বিরুদ্ধে মাদক ও মারামারি মামলা রয়েছে বলেও জানান এসআই আরিফ। স্কুল ছাত্রী অপহরণের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান সদর থানার ওসি মো. শাহজাহান কবির।