ড. আব্দুস সাত্তার, ওয়াশিংটন ডিসিঃ

 

আধুনিকতার সাথে সাথে সভ্যতা আসার কথা ছিল কিন্ত মেট্রো ওয়াশিংটনে বাংলাদেশী কমিউনিটিতে সভ্যতার ব্যানারে অসভ্যতা। আদি যুগে জামা কাপড় ছিল না, মানুষ গাছের পাতা দিয়ে সভ্যতা ঢেকে রাখত আর এই একবিংশ শতাব্দীতে এসে কাপড় দিয়ে সভ্যতা ঢেকে অসভ্যতা খুলে দিয়েছে! আমরা পশ্চাতে বসবাস করি তাই বলে তাদের মতো চলা ফেরা করব। কিন্তু ইদানীং বাংলাদেশী কমিউনিটিতে দারুন ভাবে পশ্চাতের প্রভাব পড়েছে। তার জন্য আমি পুরো কমিউনিটিকে দায়ী করছি না। আমি দায়ী করছি সেই সমস্ত অসভ্য নারী-পুরুষকে যারা মেট্রো ওয়াশিংটন বাংলাদেশী কমিউনিটিকে অসভ্য বানাতে চাচ্ছে। যেমন দেখা যাচ্ছে স্বামী একটু জাতে ওঠার জন্য বউকে তিন কাপড় ছেড়ে দুই কাপড় পরাতে শুরু করেছে। এমনকি তাদের দিয়ে দেশ-বিদেশ, অফিস- আদালত, মঞ্চ, সংগঠন ও বিভিন্ন হোটেলে মেলামেশা করতে দিচ্ছে। যদি বলি দেহ-ব্যবসা হচ্ছে মনে হয় ভুল হবে না! কারন সেই নারী দেহ দিয়েই তো জাতে উঠতে চাচ্ছে। সাথে সেই স্বামী নিশিরাতে “বাইজিদের” নিয়ে বাসার নীচতলায় সারারাত আনন্দ ফুরতিতে ব্যস্ত থাকে আর নারী উপরের তলায় প্রেমিক খদ্দরের সাথে প্রেমাআলাপ। শুধু এখানেই শেষ নয় অনেকেই জাতে উঠতে যেয়ে তাদের বউ কে হারিয়েছে। কিন্তু কমিউনিটিকে দেখানোর জন্য অনেকেই একই ছাদের নীচে থাকে কিন্তু তাদের সাথে কোন বিবাহিক সম্পর্ক নেই।

নারী এখন আধুনিক হয়েছে তাই স্বামীকে ছেড়ে দুই কাপড় পড়ে কমিউনিটির সামনে অসভ্যের মতো হেঁটে বেড়াচ্ছে। আবার কিছু আছে স্বামীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক আছে এমন নারীর সাথে একসাথে চলাফেরা, খাওয়া-দাওয়া, পার্টি কি চমৎকার ভাবে করছে মনে হচ্ছে যেন দুই সতীন একসাথে বসবাস করছে। আবার অনেক বউ আছে তাদের ব্যবসায়িক বন্ধুকে বাসায় নিয়ে আসছে স্বামীর সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে বন্ধু হিসাবে। অপরদিকে স্বামী তার বন্ধুকে নিয়ে বাসায় আসছে বউ বোতল খুলে সরাব পান করতে দিচ্ছে। কি চমৎকার আধুনিকতা? তাই না?

এবার আসি এই দুই স্বামী/স্ত্রী সন্তান যদি বিদেশী কোন ছেলে মেয়ের সাথে বছরের পর বছর একসাথে থাকে চলাফেরা করে তাতে কারো কিছুই আসে যায় না। সেই অসভ্য মানুষগুলো বত্রিশ দাঁত বের করে বলে আমাদের মেয়ে/ছেলের বন্ধু ওরা একসাথে পড়ালেখা বা কাজ করে। এরি নাম কি আধুনিকতা?

কমিউনিটির সবাই জানে অসভ্যদের কথা কিন্তু কেউ বলতে চায় না কারন বলতে গেলেই তাদের সাথে সম্পর্ক চলে যাবে আর সম্পর্ক চলে গেলে ওনারা কিভাবে দুই নাম্বার কাজগুলো করে সাধারন মানুষের বাহবা নিবে! কারন সেই নারী ও স্বামী ওদের টাকা পয়সা দিয়েই তো কমিউনিটির দুই নাম্বার লোকগুলো দুই নাম্বার কাজ করছে! কি আচার্য মানুষ!

আপনার শুনলে হয়তবা অবাক হবেন ওদের বিয়ের কাবিননামা ও ব্যবসায়িক সার্টিফিকেট ওয়ালে টাঙিয়ে রেখেছে। আপনি কিছু বললেই উত্তর পেয়ে যাবেন। এই কাগজপত্র দিয়েই সব কাজকর্ম কমিউনিটির চোখের সামনে করে যাচ্ছে।

এই লিখাটা লিখতে যেয়ে আমার ছোট বেলার কাকের গল্পটা মনে পড়ে গেল। কাক চোখ বন্ধ করে সাবান চুরি করে রেখ দিত। কাক মনে করত কেউ দেখে নি। কি বোকা সেই কাক। মেট্রো ওয়াশিংটন বাংলাদেশী কমিউনিটিতে প্রতিদিন কি হচ্ছে সবাই জানে। কিন্তু সেই নারী, স্বামী ও দুই নাম্বার লোকগুলো মনে করে কেউ কিছুই দেখে না। হায়রে বোকা!

আমার লেখাটি হয়তবা প্রত্রিকা বা অনলাইন কেউ ছাপাবে না তাতে কি আসে যায় আমি বাংলাদেশী কমিউনিটির একজন হিসাবে আমার কথাগুলো লিখতে পারি। তাই না? আমরা সবাই চাই দূষণ ও দুনীতি মুক্ত একটি কমিউনিটি।

পরিশেষে বিধাতার কাছে আবেদন ওদেরকে সভ্য রাস্তায় ফিরিয়ে এনে বাংলাদেশী কমিউনিটিকে কালিমা মুক্ত করে দিন। আমিন।