ধর্ম ডেস্ক :
‘আল-মুসলিমু মিল্লাতুন ওযাহেদা’ অর্থাৎ বিশ্ব মুসলিম এক জাতি এক দেহ।’ মুসলমান মুসলমানের আয়না স্বরূপ। কোনো মুমিন মুসলমানের মধ্যে কোনো দোষ বা অন্যায় দেখলে তা তাকে দেখিয়ে দেবে পরিশুদ্ধ করবে, এটাই ঈমানি দায়িত্ব।

হাদিসে পাকে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুমিন মুসলমানের পারস্পরিক দায়িত্ব কর্তব্য সম্পর্কে অনেক নসিহত পেশ করেছেন। আর তাহলো-

– হজরত নোমান রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘(দুনিয়ার) সব মুমিন একটি ব্যক্তিসত্তার মতো। যখন তার চোখে ব্যাথ্যা শুরু হয়, তখন তার গোটা শরীরই ব্যাথা অনুভব করে। আর যদি তার মাথা ব্যথা হয় তাতে তার গোটা শরীরই বিচলিত হয়ে পড়ে।’ (মিশকাত)

– হাদিসে পাকে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা ততক্ষণ বান্দাকে সাহায্য করতে থাকেন, যতক্ষণ বান্দা তার ভাইয়ের সাহায্যে নিজেকে নিয়োজিত রাখে।’

হাদিসের শিক্ষা হলো
> দুনিয়ার প্রত্যেক ঈমানদার ব্যক্তি ভ্রাতৃত্ব, ভালোবাসা ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এক দেহের মতো বসবাস করবে। আর তাতেই সমাজে প্রতিষ্ঠিত হবে শান্তি। পরকালের সুনিশ্চিত সফলতা আসবে।
> একজন মুমিন মুসলমান তার অন্য ভাইকে সাহায্য করবে এটাই আল্লাহ এবং তাঁর রাসুলের একান্ত চাওয়া।

এ কারণে হাদিসে পাকে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুসলমানের সঠিক পরিচয় তুলে ধরেছেন এভাবে-
‘প্রকৃত মুসলমান সেই ব্যক্তি; যার হাত ও মুখ থেকে অন্য মুসলমান নিরাপদ থাকে।’

সুতরাং হিংসা-বিদ্বেষ, মারামারি নয়, নয় কোনো মতপার্থক্য ও বিরোধিতা। দুনিয়ার শান্তি এবং পরকালীন মুক্তির লক্ষ্যে পারস্পরিক সুসম্পর্ক বজায় রেখে পরিপূর্ণ ঈমানদারের পরিচয় ফুটিয়ে তুলি।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে পারস্পরিক সুসম্পর্ক বজায় রেখে দুনিয়ার সুখ-শান্তি এবং পরকালীন জীবনের চিরস্থায়ী মুক্তি লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।