ধর্ম ডেস্ক :
দুনিয়া মানুষের চিরস্থায়ী ঠিকানা নয়। দুনিয়াতে কে কখন আসবে এটা নিশ্চিত করে কেউই বলতে পারে না। কিন্তু কোনো মানুষের জন্মের পর সে ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করবে এটি সুনিশ্চিত। তাইতো প্রতিটি মানুষের উচিত দুনিয়ার প্রতি কথা ও কাজে মৃত্যুর কথা স্মরণ রাখা। কারণ সুখ ও দুঃখে মৃত্যুর স্মরণ মানুষের অনেক উপকারে আসে। হাদিসে পাকে মৃত্যুর স্মরণ সম্পর্কে প্রিয়নবি অনেক নসিহত করেছেন। যেগুলোর আমল করা জরুরি। হাদিসে এসেছে-

– হজরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞেস করা হল, হে আল্লাহর রাসুল! (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! সবচাইতে বুদ্ধিমান লোক কে ? তিনি বললেন, যে ব্যক্তি অধিকহারে মৃত্যুকে স্মরণ করে এবং মৃত্যু পরবর্তী জীবনের প্রস্তুতি গ্রহণে লেগে থাকে। (ইবনে মাজাহ)

– হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, হে মানব সম্প্রদায়! সুখ বিনাশকারী মৃত্যুকে বেশি বেশি করে স্মরণ করো। (তিরমিজি, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ)

মৃত্যুর স্মরণ মানুষের দুনিয়া ও পরকালে অনেক উপকারে আসে। যারা চরম সংকটে এবং সুখের অতিশয্যে মৃত্যুর কথা স্মরণ করে। মৃত্যুর এ স্মরণ তাদেরকে অনেক উপকার দেয়। হাদিসে এসেছে-

– হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, সংকটময় মুহূর্তে বান্দা যখন মৃত্যুর কথা স্মরণ করে, মৃত্যুর এ স্মরণ তার সংকটকে দূর করে দেয় আবার সুখের সময় মৃত্যুকে স্মরণ করে তখন এ স্মরণ তার সুখ স্বাচ্ছন্দ্যকে দূর করে দেয়।’ অর্থাৎ পরকালের দিকে মনোনিবেশ করতে সাহায্য করে।

মনে রাখতে হবে
প্রিয়নবির হাদিসে প্রমাণিত মৃত্যুর স্মরণ মানুষকে আখিরাত জন্য প্রস্তুতি নিতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। সুখের সময়েও নেক আমল করতে উদ্বুদ্ধ করে। অন্যায়, অসৎ পথ পরিহার করতে সহায়তা করে। দুনিয়ার সব অন্যায় জুলুম, অত্যাচার থেকে ফিরে থাকার মানসিকতা তৈরি করে। সর্বোপরি মানুষকে এ কথা স্মরণ করে দেয় যে, দুনিয়ার এ জীবন ক্ষনস্থায়ী। মৃতু্য পরবর্তী জীবনই মানুষের আসল ঠিকানা ও চিরস্থায়ী।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে পরকালের প্রস্তুতিতে দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণে সুখ-দুঃখ সর্বাবস্থায় বেশি বেশি মৃত্যুর কথা স্মরণ করার তাওফিক দান করুন। হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।