ধর্ম ডেস্ক:
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‌হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা তা কেন বল, যা তোমরা কর না? এ আয়াতে যদিও ব্যাপকভাবে সম্বোধন করা হয়েছে, তবুও প্রকৃত ইঙ্গিত মুমিনদেরকেই করা হয়েছে। যারা বলে বেড়াতেন যে, আমরা যদি আল্লাহর কাছে সর্বাধিক প্রিয় কাজ কি জানতে পারি, তাহলে তা করব।

কিন্তু যখন তাদেরকে আল্লাহর সেই প্রিয় কাজ সম্পর্কে বলে হয় তখন তারা অলস হয়ে পড়ে। তাই কুরআনুল কারিমে আল্লাহ তাআলা অলস ব্যক্তিদের ধমক দিয়ে বলেন যে, কল্যাণকর যেসব কথা বল, তা কর না কেন?

কুরআনের নির্দেশ মোতাবেক প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুসলিম উম্মাহকে ভালো কাজের নসিহত পেশ করেছেন। তাদের অনেকে মুখে ভালো কথা ও কাজ করার চিন্তা করলেও বাস্তবে তার বিপরীত করে বসে। অর্থাৎ মুখে বলে কিন্তু মানে না।

হজরত শাকিক বিন ইবরাহিম রাদিয়াল্লাহু আনহু এমন ৪টি বিষয় তুলে ধরেছেন-

> প্রত্যেকেই নিজেকে স্বীকৃতি দেয় যে, আমি আল্লাহর বান্দা। কিন্তু সে এমন আমল বা কাজ করে, মনে হয় সে কারো বান্দা নয়। আর তার কোনো মাবুদ (প্রতিপালক) নেই।

> প্রত্যেক বান্দাই বলে আল্লাহ রিজিকদাতা। কিন্তু পার্থিব ধন-সম্পদ ব্যতিত তার মন কখনো স্বস্তি হয় না। তার আরো ধন-সম্পদ চাই-ই চাই।

> প্রত্যেক ব্যক্তিই বলে, দুনিয়া অপেক্ষা আখেরাত উত্তম। কিন্তু সে ব্যক্তি দিন-রাত দুনিয়ার ভোগ-বিলাসসহ ধন-সম্পদে এতটাই মত্ত যে, আল্লাহর বিধান পালনে সম্পূর্ণ গাফেল। এমনকি হালাল-হারামের প্রতিও লক্ষ্য করে না।

> মুখে বলে মানুষকে একদিন মৃত্যু বরণ করতে হবে। কিন্তু এমন আমল বা কাজ করে মনে হয়, জীবনেও মৃত্যু তাকে স্পর্শ করতে পারবে না। কখনো মৃত্যু আসবে না।

সুতরাং প্রতিটি মানুষের উচিত, মুখের কথার সঙ্গে অন্তরের বিশ্বাসের সমন্বয় করা। যখনই মানুষ তার মুখের কথার সঙ্গে অন্তরের বিশ্বাসের মিল রেখে তা বাস্তবায়ন করবে তখনই দুনিয়া ও পরকালের সফলতা সম্ভব। আর কুরআন-হাদিসের ওপর আমলও হবে পরিপূর্ণ।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কথা ও কাজে সমঞ্জস্য রাখার তাওফিক দান করুন। কুরআন-সুন্নার নির্দেশনায় জীবন পরিচালনা করার তাওফিক দান করুন। আমিন।