ধর্ম ডেস্ক:
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আনা মাদিনাতুল ইলম ওয়া আলিয়্যু বাবুহা অর্থাৎ আমি জ্ঞানে শহর আর আলি সে শহরের দরজা।’ হজরত আলি রাদিয়াল্লাহু আনহুর জ্ঞানের পরিধি বর্ণনা দিতে গিয়ে প্রিয়নবি এ কথা বলেছেন।

তিনি ছিলেন অগাধ জ্ঞানের অধিকারি। তাইতো তিনি মুসলিম উম্মাহর জন্য অনেক নসিহত ও জ্ঞানগর্ভ বিষয় পেশ করেছেন। যা মানুষকে দুনিয়ার জীবনে সত্য ও ন্যায়ের পথে চলতে বড় ভূমিকা রাখবে। তাইতো তিনি মুমিন মুসলমানকে সঠিক জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে নিজেদের অন্তরকে সমৃদ্ধ করার কথা বলেছেন।

আমিরুল মুমিনিন হজরত আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন, ‘হিকমত তথা প্রজ্ঞা বা জ্ঞান যেখানেই থাক না কেন সেখান থেকেই তা গ্রহণ কর। কেননা প্রজ্ঞার আসল স্থান হল মুমিনের অন্তর। এ জ্ঞান যখন কাফের ও মুনাফিকের অন্তরে থাকে তখন তা উদ্বেগ ও উদ্বিগ্নতার মধ্যে থাকে। আর যখন সে মুমিনের অন্তরে থাকে তখন সে স্বস্তি পায়।

আরও পড়ুন > পয়গাম্বর দাউদের আত্ম-জিজ্ঞাসা ও ফেরেশতার নসিহত

সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত সব সময় জ্ঞান অর্জনের ভাবনায় থাকা। যদি সে জ্ঞান ভন্ড কিংবা মুনাফিক মানুষের মাঝে থাকে তার কাছ থেকেই তা শিখে নেয়া অত্যন্ত জরুরি। কেননা মুনাফিক কিংবা ভন্ড মানুষের অন্তর জ্ঞানের জন্য সঠিক স্থান নয়। জ্ঞানের আসল স্থান হলো মুমিনের অন্তর।

জ্ঞান মুমিনের হৃদয়ে নিরাপদ ও স্থির হওয়ার কারণ হলো মুমিনের অন্তর গোনাহমুক্ত থাকে। এ কারণেই যে অন্তরে গোনাহ নামক অন্ধকার থাকে না সেখানেই জ্ঞানের আলো পরিপূর্ণভাবে প্রবেশ করে। আর জ্ঞান সেখানে নিরাপদ এবং স্বস্তিতে থাকে। যা দ্বারা মুমিন নিজেও উপকৃত হয় অন্য মানুষও মুমিনের জ্ঞানে উপকৃত হয়।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সব সময় সঠিক জ্ঞানের অন্বেষণে নিজেদেরকে নিয়োজিত রাখার এবং বাস্তবজীবনে তা পালন করার তাওফিক দান করুন। গোনাহমুক্ত অন্তর নিয়ে জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে সঠিক হেদায়েতের পথে চলে দুনিয়া ও পরকালের সফলতা লাভ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।