হতে হতে এবারো হলো না। আফসোস।

ইস! যদি আর বিশটা রান বেশি হতো। বাংলাদেশের প্রথম কোনো বড় টুর্নামেন্টে কাপ সেই অধরাই থেকে গেল। তবে কম রানের ইনিংসেও অসহায় আত্মসমর্পণ করেনি টাইগাররা। মোস্তাফিজদের বোলিং তোপে শেষ বলে জিতেছে ভারত। শুক্রবার দুবাইয়ে রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে বাংলাদেশকে তিন উইকেটে হারিয়ে সপ্তম বার এশিয়া সেরা ভারত।
এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো ও টানা দ্বিতীয়বার এশিয়ার শ্রেষ্ঠ টুর্নামেন্টের ফাইনালে খেলল লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। গতবারের মতো এবারো এশিয়া কাপের ফাইনালে টাইগারদের প্রতিপক্ষ ছিল ভারত।

বাংলাদেশের ছুঁড়ে দেওয়া ২২৩ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে টিম ইন্ডিয়া। বাংলাদেশকে হারতে হয় ৩ উইকেটে।

টি-টোয়েন্টি ফরমেটে গত আসরে ভারতের কাছে হেরে ট্রফি ছুঁয়ে দেখা হয়নি বাংলাদেশের। তার আগে ২০১২ সালে পাকিস্তানের কাছে মাত্র ২ রানে হেরে ট্রফিতে চুমু দেয়া হয়নি ম্যাশদের। ফলে ফাইনালে হারের বৃত্ত থেকে বের হতে পারল না ভারত।
২২২ রান করেও যে বাংলাদেশ এতটা লড়াই করবে, সেটা কারোরই ধারণায় ছিল না। অথচ মাশরাফি, মোস্তাফিজ, মিরাজ আর মাহমুদউল্লাহরা যেভাবে লড়াই করলেন, সেটা রীতিমত বিস্মকর। শিখর ধাওয়ান, রোহিত শর্মা, দিনেশ কার্তিক, মহেন্দ্র সিং ধোনি কিংবা রবীন্দ্র জাদেজারা আউট হয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত কেদার যাদব রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে টিকে ছিলেন। শেষ মুহূর্তে মাঠে নেমে তিনিই জিতিয়ে দিলেন ভারতকে।

বাংলাদেশ পক্ষে রুবেল ১০ ওভারে ২৬ রানে দুটি, মোস্তাফিজ ১০ ওভারে ৩৮ রানে দুটি, মাশরাফি ১০ ওভারে ৩৫ রানে একটি, নাজমুল অপু ১০ ওভারে ৫৬ রানে একটি, মাহমুদুল্লাহ ৬ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে একটি আর মিরাজ ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে উইকেট শূন্য থাকেন।