রিয়াজ উদ্দিন, পেকুয়া:
পেকুয়ায় প্রধান সড়কটি যেন মৃত্যুফাঁদ। রাস্তার পার্শ্ববর্তী বাড়ির টিউবওয়েলের পানি আসে রাস্তার উপর। যার ফলে রাস্তায় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। চকরিয়া-মগনামা সড়কের সদর ইউনিয়নের আন্নরআলী মাতবরপাড়া পয়েন্টে সড়ক ও জনপদ (সওজ বিভাগ) এর মালিকানাধীন সড়কটি মৃত্যুফাঁদে পরিনত হয়েছে। মাতবরপাড়ার দিঘীর পূর্ব পাশের সড়কের বাঁকে বিশাল অংশ ধেবে যায়। এতে করে গত কয়েক দিন ধরে প্রচুর যানবাহন এ পয়েন্টে আটকিয়ে যায়। প্রতিদিন বাড়ছে সড়কে ভারী যানবাহন আটকানোর হরদম দৃশ্য। এ সময় সড়কটিতে দেখা দিয়েছে যানজট। প্রতিদিন ওই স্থানে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। শত শত যানবাহন সড়কের ওই স্থানে সারিবদ্ধ যানজটে পতিত হচ্ছে। ফলে নজিরবিহীন দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে যাত্রী সহ ওই সড়ক দিয়ে চলাচলকারীদের মাঝে। মগনামা-বরইতলী সড়কটি পেকুয়া উপজেলার যাতায়াতের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ। পাশর্^বর্তী বিচ্ছিন্ন দ্বীপ কুতুবদিয়া উপজেলার যোগাযোগের প্রধান স্তম্ভ এ সড়কটি। সড়কপথে যাতায়াতের অন্যতম যোগাযোগ প্রাণ স্পন্দন এ সড়কটি গত কয়েক মাস ধরে মৃত্যুফাঁদে পরিনত হয়। থেমে গেছে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। পেকুয়ার এ পয়েন্টে প্রতিদিন মালবাহী ট্রাক ও বিভিন্ন পরিবহন চোরা গর্তে নিপতিত হচ্ছে। বিপুল পরিমান যানবাহন সড়কের এমন বেহাল দশার ফলে দুর্ঘটনায় পতিত হয়। প্রতিদিন কোন না কোন যানবাহন এ পয়েন্টের গর্তে পতিত হয়। এতে করে মালামাল বিনষ্ট হচ্ছে ব্যাপকভাবে। গাড়ীর ইঞ্জিন বিকল হচ্ছে এ গর্তে। চকরিয়া মগনামা সড়কের মাতবরপাড়া পয়েন্ট ছাড়াও উত্তর মেহেরনামা চৈরভাঙ্গা পয়েন্টেও সড়কটির কিছু অংশ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চৈরভাঙ্গা নজির আহমদের বাড়ি থেকে বাঁক পর্যন্ত প্রায় দুই চেইন ধেবে যায়। ওই স্থানেও বেশ কিছু বড় পরিসরে গর্ত হয়েছে। পিচ ঢালাই সড়ক থেকে নি:সরিত হয়েছে। সওজ বিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত অংশ পুন:সংষ্কার করে। তবে তারা পিচ ঢালাই দিতে সক্ষম হননি। ওই স্থানে ক্ষতিগ্রস্ত অংশে ইটের টুকরা ভরাট করে। বালি ও কংকরের সংমিশ্রন পুন:সংষ্কার কাজটি বার বার ব্যাহত হচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে মগনামা চকরিয়া সড়কের আরও বেশ কিছু অংশ পৃথক ধেবে যায়। কলেজ গেইট চৌমুহনীর অল্প দুরে পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন স্থানেও সওজের এ সড়কটি বিনষ্ট হয়েছে। চৌমুহনী মোড়ের তিন চেইন পূর্বদিকে এ অংশে সড়কটির বিপুল অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ পয়েন্টেও পিচ ঢালাই নেই সড়কটিতে। এ ব্যাপারে চকরিয়া সড়ক বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী আবু আহসান জানান, রাস্তার পাশের্^র মানুষগুলো ভাল না। তাদের বাড়ির পানিগুলি রাস্তায় চলে আসে। যার ফলে রাস্তার এ অবস্থা। স্থানীয় প্রশাসন চাইলে তাদের ব্যাপারে কিছু করতে পারে। ওই রাস্তার জরুরী বরাদ্দ পেলে কাজ শুরু করা হবে বলে সাংবাদিকদের জানান