শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, কক্সবাজার সদর:

প্রান্তিক জনগোষ্টির হত দরিদ্রদের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া বরাদ্দ ভিজিএফের চাল বিতরণে অনিয়ম অভিযোগ উঠেছে ইসলামাবাদ আওয়ামীলীগের দায়িত্বশীল নেতাদের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে ছাত্র, যুবলীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে চাপাক্ষোভ বিরাজ করছে। অপরদিকে হত-দরিদ্রদের মাঝে বিরাজ করছে হতাশা। দলীয় নেতাকর্মীরা জানায়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিশেষ বরাদ্দকৃত ভিজিএফের চাল বিতরণে অনিয়ম হওয়া যে কোন নির্বাচনে প্রভাব পরতে পারে।

ইসলামাবাদ ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল ইসলাম অভিযোগ করে জানায়, গত ঈদুল আযহার সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ বরাদ্দকৃত ভিজিএফের চাল পরিষদে আসে। এ দিন প্রায় ৪ শতাধিক হত দরিদ্রদের মাঝে ২০ কেজি করে চাল বিতরণ করে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্টরা। এ সময় আওয়ামীলীগ ও যুবলীগের সিনিয়র নেতাদের অনুরোধে ইউনিয়ন যুবলীগের জন্য ৪০টি ভিজিএফের কার্ড বরাদ্দ দেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি। ঈদুল ফিতরের সময় চালের সংকট দেখা দিলে বিতরণ স্থগিত করে রাখে। পুনরায় চাল আসলে পুর্ব ঘোষিত অনুযায়ী ৯ সেপ্টেম্বর সকালে হত ৪০ জন দরিদ্র দলীয় নেতাকর্মী ও স্থানীয়দের মাঝে ২০ কেজি করে চাল দেওয়ার নিয়ম থাকলেও দেওয়া হয়েছে ৭/৮/৯ কেজি, ক্ষেত্র বিশেষ ১০ কেজি করে।

খোদাইবাড়ী এলাকার সাইফুল ইসলাম নামের এক হত দরিদ্র জানায়, তাকে দেওয়া দেওয়া হয়েছে ৭ কেজি ভিজিএফের চাল। এ রকম আরো অনেকেই অভিযোগ করে জানিয়েছেন মাস্টার রোল অনুযায়ী ২০ কেজি দেওয়ার নিয়ম থাকলেও তার অর্ধেক চাল দেওয়া হয়েছে। বাকি চাল গুলো কোথায় দেওয়া হয়েছে খতিয়ে দেখার অনুরোধ জানান ভুক্তভোগীরা।

এ ব্যাপারে ইসলামাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি নুর ছিদ্দিক চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগের জন্য মুঠোফোনে কয়েকবার রিং দেওয়া হয়। কিন্তু সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। অপর একটি সূত্রে জানা গেছে প্রতিবছর সরকার দলীয় সংগঠনের জন্য শতাধিক কার্ড বরাদ্দ রাখা হয়। এবারে একটু কম হওয়ায় আওয়ামীলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে একটি পক্ষ।