( বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক স্কুল কমিটি গঠনের ঘোষণায় দেশে পক্ষে বিপক্ষে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে সিবিএন অভিভাবক , শিক্ষক , ছাত্রছাত্রী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের কাছ থেকে সুচিন্তিত ভাবনাগুলো তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নিয়েছে । যা পর্যায়ক্রমে প্রকাশিত হবে । – সম্পাদক , সিবিএন )

স্কুল কমিটি গঠন নিয়ে এবারের সিবিএন ভাবনায় এসেছেন কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ হোসাইন তানিম। বক্তব্যটি গ্রহণ করেছেন সিবিএন শিক্ষানবিশ রিপোর্টার নুসরাত পাইরিন

প্রশ্ন:কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ কর্তৃক প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্টানে কমিটি দেওয়ার যে ঘোষণা দিয়েছে এটি আপনি কিভাবে দেখছেন?

মোরশেদ হোসাইন তানিম : স্কুল জীবনে যদি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রেমে না পড়ো তবে কলেজ জীবনে এসে জয় বাংলার শ্লোগান কেমনে দিবে? তবে কেমনে দেশকে ভালবাসবে তবে কেমনে নিজকে গড়বে?

মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস যদি এই প্রজন্মের নব কুড়িরা না জানে তবে কেমনে সকাল হবে।

এই দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল গুলোতে যখন ২০০১ সালের পরবর্তী সময়ে জামাত শিবির ধর্মের দোহাই দিয়ে বিভিন্ন স্কুলে ছাত্রদের শার্টের বোতাম একবার খুলে একবার পড়িয়ে দিয়ে হাতে কিশোরকন্ঠ ধরিয়ে দিয়ে যখন শিবিরের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করে যখন এ দেশের কোমলমতি ছাত্রদের মগজ ধোলাই করে তাদের হাতে অস্ত্র আর বোমা তোলে দেয় তখন এদেশের সুশীলদের চোখে পড়ে না। যা বিভিন্ন গ্রাম পর্যায়ে এখনো তাদের এই রীতি বিদ্যমান আছে। আজ যখন সারা দেশে স্কুল পর্যায়ে ছাত্রলীগের কমিটির কথা আসে তখন দেখি সুশীলদের মুখে বড় বড় বিতর্কিত কথাবার্তা।

মনে রাখবেন আমরাই প্রকৃতভাবে দেশটাকে ভালবাসি আর ভালবাসি বলেই পিতা মুজিবের আদর্শকে ধারন করে স্কুল জীবন থেকে আজও অদ্যাবধি জয় বাংলার শ্লোগান দিই অবিরত। পিতা মুজিবকে ভালবাসি বলেই আমরা ২১ শে ফেব্রুয়ারী ,২৬শে মার্চ আর ১৬ ই ডিসেম্বরে প্রথম প্রহরে পবিত্র শহীদ বেদিতে শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করি যা অন্যান্য সংগঠন বিশেষ করে জামাত শিবিরকে করতে দেখা যায় না বললে চলে।একমাত্র আমরাই অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি বিশ্বাসী।

সুতরাং ১৯৪৮ সাল থেকে অদ্যাবধি সময় পর্যন্ত ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা কাল থেকে শুরু করে এদেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে।একজন সাধারন ছাত্রের জন্য ছাত্ররাজনীতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারন ছাত্ররাজনীতিতে সম্পৃক্ত হলে সে তার জীবনকে নিদিষ্ট সময়ে শৃঙ্খল জীবন,ন্যায়পথে সভ্যতা, সৎ সাহস,আচার ব্যবহার,সততা আদব কায়দা পরিচ্ছন্নতা স্মার্টনেস সম্পর্কে নিজেকে সহজে গড়ে তোলে ও বিকশিত করে এবং পরিবারকেও সম্মানের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়।এদেশের বর্তমানে নেতৃত্বের অগ্রভাগে সকল বড় বড় নেতারা কিন্তু ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলো।

“যারা স্কুল পর্যায় থেকে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে ছাত্রলীগের মতো সংগঠনের নেতৃত্বে দেয় আমি মনে করি তারাই প্রকৃত ছাত্রলীগ।

যাকে সমাজ ও রাষ্ট্র অন্যভাবে শ্রদ্ধা, ভক্তি ও সম্মান করে। যা সাধারন ছাত্রছাত্রী পায় না শুধু মাত্র ছাত্রলীগের নেতারা ছাড়া। যারা রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থায় কাজ করার নানান সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকে। এদেশের ইতিহাস তাই বলে।

লক্ষ্য করলে দেখবেন ১৯৭১ সালে দেশ ও সমগ্র জাতি যখন ক্রান্তিকাল তখন মহান মুক্তিযুদ্ধে আনুমানিক ১৭ হাজার নেতাকর্মী মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও সাহসিকতার সহিত ঘাতক বুলেটকে বুকে বরন করে নিয়েছে, হয়েছে শহীদ। আজকে লক্ষ্য করবেন উপ মহাদেশে সুপ্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাই বারে বারে প্রমাণিত হয়েছে দেশ ও জাতির তরে বুকের তাজা রক্ত দিয়ে হলেও এদেশের পক্ষে কথা বলছে। যেখানে আদর্শিকভাবে সফলতার দিক দিয়ে ও সঠিক তথ্য প্রমাণ সহ পরিসংখ্যান অনুযায়ী এদেশের অন্যান্য ছাত্র সংগঠন গুলো অনেক অংশে পিছিয়ে। ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের যারা স্ব স্ব দায়িত্ব পালন করেন তারা যদি সঠিক সময়ে সঠিক ভাবে সম্মেলনের মাধ্যমে স্কুলে কমিটি গঠন করতে পারে তবে এদেশে শিক্ষিত রাজনীতিবিদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে আর নিরক্ষর রাজনীতিবিদরা হারিয়ে যাবে যা এদেশের ছাত্র রাজনীতির জন্য অত্যন্ত জরুরী। আর তাই আমি মনে করি সময়ের তরে এদেশের মাধ্যমিক স্কুল গুলোর মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পতাকাতলে সমবেত হওয়া অত্যন্ত জরুরী কেননা নিজকে গড়তে এবং দেশ ও জাতির তরে কাজ করতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ভালবাসতেই হবে যার কোন বিকল্প নেই। বঙ্গবন্ধুর সঠিক ইতিহাস যদি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে এদেশের মানুষ ধারন ও লালন পালন করে তবে এই বাংলাদেশে যুগের পর যুগ বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সরকার নিঃসন্দেহে ক্ষমতায় থাকবে।