সংবাদদাতা:

পেকুয়ায় মোঃ শুক্কুর(৪০) নামের যৌতুক আইনের মামলার এক ওয়ারেন্টভুক্ত আসামীকে আটকের পর ছেড়ে দিয়েছে থানা পুলিশ।

বুধবার (১নভেম্বর) বিকেলে রাজাখালী ইউনিয়নের সবুজ বাজার এলাকা থেকে তাকে আটক করে পেকুয়া থানার উপ সহকারী পরিদর্শক (এএসআই) চন্দন মজুমদার। পরে সবুজ বাজারের দক্ষিণ পাশে গিয়ে আটকের কাছ থেকে টাকা আদায় করে তাকে ছেড়ে দেন তিনি।

সবুজ বাজারের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ফল ব্যবসায়ী বলেন, গত বুধবার দুপুরে আমার দোকানের বিপরীত দিকের রাস্তা থেকে থাকে আটক করে নিয়ে যায় পেকুয়া থানার পুলিশ। পরে জানতে পারি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকার পরেও ২০হাজার টাকার বিনিময়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এরপর থেকে গাঢাকা দিয়েছে শুক্কুর।

জানা গেছে, স্ত্রী সন্তনের কথা গোপন করে ২০১২সালে শরীয়তপুর জেলার সখিপুরের উত্তর তারাবুনিয়া এলাকার আবুল কাশেম বেপারীর মেয়ে সাবিনাকে বিয়ে করেন মোঃ শুক্কুর। বিয়ের একমাস পরে তার প্রথম স্ত্রীর কথা জানাজানি হলে পালিয়ে যায় সে। পরে সাবিনার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে দুই লক্ষ টাকা যৌতুক দাবী করে শুক্কুর। নয়তো স্ত্রীকে স্বীকৃতি দিবেনা বলে জানায় সে।

সাবিনার পিতা আবুল কাশেম বেপারী বলেন, এ ঘটনায় আমার মেয়ে সাবিনা বাদী হয়ে শরীয়তপুর জেলা দায়রা জজ আদালতে যৌতুক আইনে মামলা দায়ের করে। যার নং- সি.আর-১২৪/১৬। এ মামলার মাননীয় আদালত অভিযুক্ত শুক্কুরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এছাড়াও সে আদালতে হাজির না হওয়ায় তার বাড়ীর মালামাল জব্দের আদেশ দেয় মাননীয় আদালত। কিন্তু পেকুয়া থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে সে বারবার আইনের অমান্য করে যাচ্ছে।

ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী আটকের পর ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে পেকুয়া থানার উপ সহকারী পরিদর্শক (এএসআই) চন্দন মজুমদার বলেন, মোঃ শুক্কুরের বিরুদ্ধে কোন ওয়ারেন্ট নেই। ওয়ারেন্ট থাকলে আপনারা দেখান। তার বিরুদ্ধে আমার হাতে একটি পিএন্ডে নোটিশ ছিল। একমাস আগে তার প্রতিবেদন আমি আদালতে প্রেরণ করেছি।

পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জহিরুল ইসলাম খান বলেন, বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।