ডেস্ক নিউজ:

দুর্যোগের কারণে ভেস্তে গেছে আওয়ামী লীগের চলমান সাংগঠনিক কার্যক্রম। গত তিন মাসে দুর্যোগ সামাল দিতেই হিমশিম খাচ্ছে দলটি। বন্যা, ষোড়শ সংশোধনী, রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়েই ব্যস্ত সময় পার করতে হয়েছে দলের নেতাদের।

গত ২০ মে গণভবনে আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় নতুন সদস্য সংগ্রহ ও পুরনো সদস্যদের নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আনুষ্ঠানিকভাবে সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধনের পর এ পর্যন্ত কতসংখ্যক ফরম বিক্রি হয়েছে এবং কত সদস্য সংগ্রহ হয়েছে তার সুনির্দিষ্ট কোনো হিসাব নেই দলীয় দফতরে। তবে সূত্রে জানা গেছে,পাঁচ মাসেও দলের টার্গেট ১ কোটি সদস্য সংগ্রহ হয়নি।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ৬৪ জেলা সফরের কথা ছিল আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। এরই অংশ হিসেবে ১৪ মার্চ লক্ষ্মীপুর, ২১ মার্চ মাগুরা, ২৮ মার্চ ফরিদপুর, ১৫ এপ্রিল ঠাকুরগাঁও, ২৩ এপ্রিল বরগুনা এবং ২৯ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা সফর করেন তিনি। প্রতি মাসে প্রায় পাঁচ জেলা সফরের কথা থাকলেও বন্যার কারণে প্রধানমন্ত্রীর জেলা সফর স্থগিত করা হয়। যদিও বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করতে বেশ কয়েকটি জেলা সফর করেন তিনি।

নাম না প্রকাশের শর্তে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর একাধিক সদস্য জানান, সদস্য নবায়ন ও সংগ্রহ কার্যক্রমের শুরুতে সব জেলা আবেদনপত্র সংগ্রহ করেছে। তবে অধিকাংশ জেলা এ বিষয়ে কোনো অগ্রগতির ফলাফল দেয়নি।

জানা গেছে, প্রথমে শোকের মাস, বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, ষোড়শ সংশোধনী ও সর্বশেষ রোহিঙ্গা পরিস্থিতির জন্য সাংগঠনিক কাজ ব্যাহত হচ্ছে। সর্বশেষ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এ বিষয়ে দলীয় প্রধান নিজেও সবাইকে তৎপর হতে বলেছেন।

প্রাকৃতিক দুর্যোগে সাংগঠনিক কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরুল্লাহ বলেন, এটা তো হয়েছেই।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুর রহমান বলেন, আমরা বন্যা মোকাবেলা করি, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করি। এরই মধ্যে সদস্য সংগ্রহ অভিযান চলছে, চলবে। এ ব্যাপারে নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছি।

সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন অভিযান চলছে, তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আনুষ্ঠানিকতা করিনি।