ডে্স্ক নিউজ:
রাঙামাটিতে পাহাড় ধসে বিধ্বস্ত সড়কগুলোর এখনো বেহাল দশা। অভ্যন্তরীণসহ জেলার বেশির ভাগ এলাকার সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। দীর্ঘদিন সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার কারণে চরম জনদুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। বাড়ছে নানা সংকট।

স্থানীয় প্রশাসন এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগ বলছে, ১৩ জুন পাহাড় ধসের কারণে জেলার সড়কগুলোর যে ক্ষতি হয়েছে সেগুলো স্বাভাবিক করতে যথেষ্ট সময়ের দরকার। তবে মেরামত কাজ নিয়ে তোড়জোর চলছে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম-রাঙামাটিসহ কয়েকটি সড়কে হালকা যান চলাচল উপযোগী করা হয়েছে। ঈদের পরপরই দ্বিতীয় দফায় মেরামত কাজ শুরু হয়েছে। কাজ দ্রুত গতিতে চলছে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সড়কগুলো সচল করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এদিকে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে হালকা যান চলাচল করলেও ভারি যান চলাচল উপযোগী হয়ে ওঠেনি। ফলে পুরোপুরি সচল হয়নি প্রধান এ সড়কটি। গত ২০ দিনেও চালু হয়নি রাঙামাটি-মানিকছড়ি-মহালছড়ি-খাগড়াছড়ি সড়ক। এ সড়কটি এখন সম্পূর্ণ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।

rangamati

এছাড়া রাঙামাটি-কাপ্তাই, ঘাগড়া-চন্দ্রঘোনা-বাঙালহালিয়া-বান্দরবান, রাণীরহাট-কাউখালী, বগাছড়ি-নানিয়ারচর-লংগদু এবং বাঙালহালিয়া-রাজস্থলী সড়কে হালকা যান চলাচল করলেও ৫টি সড়কই মারাত্মক ঝুঁকিতে। ব্যাপক ধসের কারণে ৫টি সড়কের বিভিন্ন স্থান বিধ্বস্ত হয়েছে।

রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এমদাদ হোসেন বলেন, পাহাড় ধসে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কসহ জেলার বিভিন্ন সড়ক ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়কসহ জেলার ৫টি মূল সড়কে অন্তত ২০০ স্থান ও স্পটে বিধ্বস্ত হয়েছে। এর মধ্যে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে সংযুক্ত শহরের ৫টি সংযোগ সড়কের ১২টি স্পটে ১১০০ মিটার সোল্ডার এবং আংশিক পেভমেন্ট ধসে পড়েছে। সড়কগুলোর ক্ষতিগ্রস্ত জায়গায় মেরামত কাজ নিয়ে তোড়জোর চলছে।

তিনি আরও বলেন, রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের সদরের সাপছড়ির শালবনে বিধ্বস্ত স্থান ভরাট করে হালকা যান চালু করা হয়েছে। ভারি যান চলাচল উপযোগী করতে শালবনের বিধ্বস্ত স্থানের উত্তর পাশে একটি বেইলি ব্রিজ নির্মাণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। কাজ দ্রুত শেষ করে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে সরাসরি ভারি যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে। এছাড়া রাঙামাটি-মানিকছড়ি-মহালছড়ি-খাগড়াছড়ি সড়কের ৮ কিলোমিটার স্থানে কুতুছড়ি খামারপাড়া হতে কেচিং পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার ব্যাপী রাস্তায় মেরামত কাজ চলছে। আগামী এক থেকে দেড় সপ্তাহের মধ্যে ওই সড়কে যান চলাচল করতে পারবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

rangamati

প্রকৌশলী এমদাদ হোসেন বলেন, রাঙামাটি-কাপ্তাই, ঘাগড়া-চন্দ্রঘোনা-বাঙালহালিয়া-বান্দরবান, রাণীরহাট-কাউখালী, বগাছড়ি-নানিয়ারচর-লংগদু এবং বাঙালহালিয়া-রাজস্থলী সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত স্থানগুলোতেও মেরামত কাজ দ্রুত চলছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে এসব সড়কে মেরামত কাজ করা হচ্ছে।