মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

২৭ এপ্রিল নাইক্ষ্যংছড়িতে করোনা রোগী হিসাবে সনাক্ত হওয়া মহিলা আলম আরা আসল করোনা রোগী নয়। ২৭ এপ্রিল করোনা সনাক্ত হওয়ার পর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রেজিষ্ট্রার দেখে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের কম্বোনিয়া পাড়ার জামাল হোসেনের স্ত্রী আলম আরার বাড়ির লোকেশন নির্ধারণ ও অন্যান্য কার্যক্রম শুরু করার জন্য তাৎক্ষণিক নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে ইউএনও সাদিয়া আফরিন কচি নির্দেশ দেন।

সে অনুযায়ী নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কম্বোনিয়া পাড়ার জামাল হোসেনের স্ত্রী আলম আরার বাড়িতে ২৭ এপ্রিল সন্ধ্যায় গিয়ে জানতে পারেন, আলম আরা গত কয়েকমাসে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাননি এবং সে তার শরীরের কোন স্যাম্পলও দেননি। সে সম্পূর্ণ সুস্থ। কে হাসপাতালের রেজিস্টারে তার, তার স্বামীর নাম ও তার মোবাইল দিয়ে প্রতারণা করেছে সেটা আলম আরা ও তার স্বামী জানেন না।

পরে হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একজন মহিলা রোগী আলম আরা নাম দিয়ে তার করোনা উপসর্গ আছে বলে কর্তব্যরত চিকিৎসককে জানালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. অভিজিৎ চক্রবর্তীর নির্দেশে হাসপাতালের প্রশিক্ষিত টেকনিশিয়ান এ্যানি চাক ঐ মহিলা রোগী থেকে স্যাম্পল সংগ্রহ করেন। এ অবস্থায় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তৃপক্ষ ধুম্রজালে পড়ে যায়। ২৮ এপ্রিল সকালে টেকনিশিয়ান এ্যানি চাক একটি টিম সহ স্বশরীরে কম্বোনিয়া পাড়ায় গিয়ে চেহারা দেখে স্যাম্পল সংগ্রহ করা হিসাবে সনাক্ত করেন অন্য একজন মহিলাকে। তার নাম, জান্নাতুল হাবিবা, স্বামীর নাম-ছুরত আলম। এই জান্নাতুল হাবিবা হচ্ছে আলম আরা’র ভাইয়ের স্ত্রী ও একই পাড়ার বাসিন্দা।

পরে ইউএনও এর নির্দেশে আলম আরার পরিবর্তে জান্নাতুল হাবিবাকে ২৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে করোনা চিকিৎসার জাতীয় গাইডলাইন অনুযায়ী তার চিকিৎসা শুরু হয়েছে বলে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এজেডএম সেলিম সিবিএন-কে জানিয়েছেন।নাইক্ষ্যংছড়ির ইউএনও সাদিয়া আফরিন কচি জানান, কম্বোনিয়া পাড়ায় ২ জনের বাড়ি লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে এবং ২৯ এপ্রিল ২ জনের শরীরের স্যাম্পল সংগ্রহ করে টেস্টের জন্য আবারো কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাবে পাঠানো হবে।