এম এনাম হোসেন, আরব আমিরাত প্রতিনিধি :

প্রবাসের মাটিতে রাউজানবাসীকে গর্বিত করেছেন পরিচ্ছন্ন বিজনেস মেকার, মেধাবী ব্যবসায়ী উদ্যোক্তা শেখ ফরিদ অাহাম্মদ (শেখ ফরিদ)।

সংযুক্ত অারব অামিরাত থেকে যে ক, জন ব্যবসায়ী শিল্প উদ্যোক্তা বাংলাদেশ সরকার কতৃক ২০১৮ সালের গেজেটে কমার্সিয়াল ইমপর্টেন্ট পারসন (সি অাই পি) নির্বাচিত হয়েছেন পরিচ্ছন্ন সৃজনশীল ব্যবসায়ী শেখ ফরিদ তার মধ্যে অন্যতম।

টগবগে তারুণ্য ও চোখে অনাবিল স্বপ্ন নিয়ে ব্যবসায়িক লক্ষে অামিরাতে ছুটে অাসা শেখ ফরিদ জীবনের প্রতিটি মূহু্র্ত্ব কাজে লাগিয়েছেন অসাধারণ এক পরিকল্পনায়। ফলে জীবনে যেমন সাবলীল হয়েছেন, তেমনি দেশকে করেছেন সমৃদ্ধ।

অামিরাতে যে ক জন প্রবাসী জীবনের প্রয়োজনে অর্থ সঞ্চয়ের পাশা পাশি বংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জলে, বাংলাদেশ কমিউনিটিকে নেতৃত্ব দিয়ে এগিয়ে নিয়েছেন তার মধ্যে শেখ ফরিদ এক উজ্জল নাম ও দৃষ্টান্ত।

তাই বাংলাদেশ সরকারের দেয়া সি অাই পি সম্মাননার চেয়ে মানুযের ভালবাসা ও মানুষের কল্যানে কাজ করা তার কাছে অনেক মূল্যবান।

সম্প্রতি শেখ ফরিদের সাথে কথা বলে সেটায় প্রতিয়মান হয়।

অামিরাতের সু,শীতল ও সবুজে সমৃদ্ধ নগরী অাল অাইনে শেখ ফরিদের বসবাস। প্রবাস জীবনের শুরু থেকে অাল অাইনকে শেখ ফরিদ বেছে নিয়েছেন নিজের বসবাস ও ব্যবসা যোগ্য পছন্দের শহর হিসেবে। এ শহরে ব্যবসার পাশা পাশি প্রবাসী বাংলাদেশীদেরকেও ধীরে ধীরে শেখ ফরিদ নিজের মত করে অাপন করে নিয়েছেন। নেতৃত্ব দিয়েছেন কমিউনিটিকে সংগঠিত করতে। মানুষের দূর্দশায় পাশে দাড়িয়েছেন, শৃংখলাবদ্ধ ও অাইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে প্রবাসীদের সচেতন করেছেন, বাংলাদেশী সংস্কৃতি, কৃষ্টি, ঐতিহ্যকে বিদেশের মাটিতে তুলে ধরতে এবং বাংলাদেশকে গৌরাম্বিত করতে সকল প্রবাসীদের নিয়ে একসাথে কাজ করে যাচ্ছেন গর্বিত এ রেমিটেন্স সৈনিক।যা একটি দেশকে মর্যাদার অাসনে বসাতে খুবি প্রয়োজন।

১৯৮৫ সালে অামিরাতে পাড়ি জমান শেখ ফরিদ। রাউজান থানার পাচখাইন গ্রামের মৃত হাজী সুলতান অাহাম্মদ ও মৃত মাতা বেগম ইসলাম খাতুনের মেঝ ছেলে শেখ ফরিদ।বড় ভাই মৃত হাজী ছালে অাহা্ম্মদ ও ছোট ভাই শেখ অাহাম্মদ সাথে থাকার কারনে রাজনীতি ছেড়ে অাসা শেখ ফরিদের প্রবাসে বসবাস অনেকটা সহনশীল হয়ে উঠে।

কৈশোরে ছাত্র রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন এ ব্যবসায়ী।অাসির দশকে দাপুটে ছাত্রনেতা হিসেবে রাউজান সহ চট্টগ্রামের রাজনীতির ময়দানে উত্তাপ ছড়িয়েছেন প্রবাসী ব্যবসায়ী শেখ ফরিদ। ছিলেন উত্তর চট্টগ্রামের খ্যাতিমান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইমাম গাজ্জালী ডিগ্রী কলেজের ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক ও কলেজ ছাত্র সংসদের জি এস।

এই নেতৃত্বের গুনাবলী শেখ ফরিদকে প্রবাসের মাটিতেও প্রতিষ্টিত করেছেন কমিউনিটি লিডার হিসেবে। ১৯৮৫ সাল থেকে শেখ ফরিদ কন্ট্রাকটিং ব্যবসার সাথে যুক্ত থাকলেও ১৯৯৮ সালে এসে তিনি শুরু করেন রিয়েলস্টেট ব্যবসা। যে ব্যবসা শেখ ফরিদকে সফলতার শীর্ষে নিয়ে এসেছেন। বর্তমানে তার রিয়েলষ্টেট ব্যবসা ব্যাপকতা লাভ করেছে অাল অাইনের বিস্তৃত অঞ্চলে।

শেখ ফরিদের সি অাই পি মর্যাদা পাওয়ার পেছনে সহয়তা ও ব্যবসায়ীক অনুপেরনা দানকারী হিসেবে অাধুনিক রাউজানের উন্নয়নের রুপকার, রাউজান থেকে বার বার নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য, রেল মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর অবদানের কথা স্বীকার করেন।

তিনি বলেন রাউজানে প্রতিটি মানুষের জন্য ও মানুষের উন্নতির জন্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী যেভাবে চিন্তা করেন তা রাজনীতির ইতিহাসে বিরল। তার অনুপেরনার কারনে সারা বিশ্ব থেকে যেখানে ৩১ জন প্রবাসী ব্যবসায়ী সি অাই পি নির্বাচিত হয়েছেন, সেখানে রাউজানের কৃতিত্বে রয়েছে ৫জন।

এ সাংসদের অনুপ্রেরনায় বহির্বিশ্বে অবস্থানরত রাউজনের মানুষ রাউজানের সমৃদ্ধি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন। রাউজানের গর্ব, রাউজানেরই কৃতি সন্তান শেখ ফরিদ রাউজান সহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় সামাজিক অবকাঠামো এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে অবদান রেখে চলেছেন অনেক অাগে থেকেই।

তিনি রাউজানে নিজ এলাকায় শিক্ষার অালোক বর্তিকা ছড়িয়ে দিতে প্রতিষ্ঠা করেছেন ডাঃ এম এম সি জুনিয়র উচ্চ বিদ্যালয়। বর্তমানে তিনি ওই স্কুলের ডিসি কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। অাগামীতে রাউজান সহ চট্টগ্রামে শেখ ফরিদ একটি গর্বিত শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে অাধুনিক রাউজানের রুপকার সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর সাথে কাজ করে যাওয়ার জন্য প্রস্তুুত বলে জানান। সে জন্য ওনার দিক নির্দেশনা জরুরী তিনি মনে করেন।

অামিরাতে এবার সি অাই পি প্রাপ্তির সংখ্যা হচ্ছে ১৪ জন। তৎমধ্যে ২ জন রাউজানেরই কৃতি সন্তান। এই দু জনের মধ্যে একজন শেখ ফরিদ অার অন্যজন মোরশেদুল ইসলাম। সারা বিশ্ব থেকে সি অাই পি প্রাপ্তির সংখ্যা ৩১ জন। তৎমধ্যে রাউজানের সন্তান হিসেবে সি অাই পি পেয়েছেন ৫ জন। শেখ ফরিদ এবং রাউজানের অার ৪ জন বাকী সি অাই পির মত রাউজানের গৌরব,রাউজানের সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে অতীতের ন্যায় অারো সৃষ্ঠিশীল মানুষের অাবির্ভাব হোক রাউজানে, সারা বিশ্বের কাছে রাউজান এক অনুকরনের মডেল হোক এটায় বহির্বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা প্রবাসী রাউজান বাসীর প্রত্যাশা।