বিশেষ প্রতিবেদক:

জাতিসংঘ, মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে ত্রি-পক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে রোহিঙ্গা সংকট,সমস্যা স্থায়ী সমাধানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শান্তির দাবীর পক্ষে বিশ্ব বিবেককে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়ে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ এর সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, রোহিঙ্গা নাগরিকদেরকে মিয়ানমার সরকার বার বার নিষ্ঠুর নির্যাতন ও গণহত্যা খুবই নিন্দনীয়। এটা বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মিয়ানমারকে প্রচন্ড চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখতে হবে। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘে শান্তির প্রস্তাবের পক্ষে নমনীয় হয়ে মিয়ানমার সরকার আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন।
রবিবার বিকাল ৩টায় কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং শরনার্থী ক্যাম্প অফিস কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংকালে তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, রাজনীতিকে পাশে সরিয়ে রেখে মনুষ্যত্ব, মানিবক ও মানবিকতাকে প্রধান্য দিয়ে বিশ্বের দিকে না থাকিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিপন্ন রোহিঙ্গাদের পাশে দাড়িয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়েছে। আজ বিশ্ব দরবার শেখ হাসিনার মানবতার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে তিনি এ সংকট সমাধানে শেখ হাসিনা জাতিসংঘে যে প্রস্তাব তুলে ধরেছেন আমরা ও ১৪দলের পক্ষে এ প্রস্তাবকে সমর্থন করে প্রধানমন্ত্রীর পাশে থাকব।

এসময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় জাসদের সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য শিরীন আকতার, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ব বিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, কেন্দ্রীয় জাসদের নেতা মীর হোসেন আকতার, ছলিম উল্লাহ শেখ, শওকত, সজল, নুর আকতার, জেলা জাসদের সভাপতি নাঈমূল হক চৌধুরী টুটুল সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা।
তথ্যমন্ত্রী হাসুনল হক ইনু রোহিঙ্গা নির্যাতনের সঠিক চিত্র ও সক্রিয় দায়িত্বপালন করে জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক পরিমন্ডলে তুলে ধরে বিশ্ব বিবেককে জাগ্রত করায় প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়া, গণমাধ্যমসহ সাংবাদিকদের সাহসিকতার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি আরো বলেন প্রধানমন্ত্রীর শান্তির প্রস্তাব মেনে নেওয়া সহ রোাহিঙ্গাদের নাগকিত্ব প্রদান, সেদেশে ফেরত, পূর্নবাসন ও গণহত্যার বিচার দাবী করেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্বের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, সশস্ত্র বাহিনী দায়িত্বপালন করায় ত্রাণ বিতরণসহ সকল কার্যক্রমে শৃংখলা ফিরিয়ে এসেছে। তবে আমাদেরকে রোহিঙ্গাদের চিকিৎসা,খাবার ও পয়নিষ্কাশনে সরকার বেশি জোর দিচ্ছেন।
এসময় জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন নারকীয় বর্বরতার শিকার হয়ে মিয়ানামার হতে পালিয়ে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদেরকে আশ্রয় দিয়ে মানবিক ও মানবতার সেবা করে বাংলাদেশ ও জনগণ বিশ্বের দরবারে প্রশংসিত হয়েছে। সরকার রোহিঙ্গাদেরকে খাদ্য,চিকিৎসা ও আশ্রয়স্থলের ব্যবস্থা করে দিয়েছে এবং তাদেরকে পুর্নবাসন ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণে সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা সংকট সমস্যা মোকাবেলায় বিশ্ব পরিমন্ডলে তুলে ধরেছেন। রোহিঙ্গাদেরকে নাগরিকত্ব প্রদান ও সেদেশে ফিরিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘে প্রস্তাবনা তুলে ধরেছেন যা ইতিমধ্যে তারা গুরুত্বসহকারে নিয়েছেন।
পরে স্পীকারের নেতৃত্বে জাতীয় সংসদের সদস্যগণ কক্সবাজারের উদ্দেশ্য বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প ত্যাগ করেন। এর আগে তথ্যমন্ত্রী জাসদের পক্ষ থেকে উখিয়ার বালুখালী, হাকিমপাড়ায় ১০হাজার রোহিঙ্গাদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন।