জালাল আহমদ , ঢাবি থেকে:

প্রাচ্যের  অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশের নানা প্রান্ত হতে সকল জেলার  শিক্ষার্থীরা  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য সবাই  উদগ্রীব হয়ে থাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির প্রথম শর্ত হল ভর্তি  পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া।বিভিন্ন জেলা  হতে আগত ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সার্বিক সহযোগিতা করতে গঠিত হয়েছে অাঞ্চলিক , জেলা ও উপজেলা ভিত্তিক   ছাত্র কল্যাণমূলক সংগঠন।এসব সংগঠন গুলো  ঢাবিতে ভর্তি হতে  আসা  নিজ নিজ জেলার  শিক্ষার্থীদের থাকা, খাওয়া , পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌছে দেয়া সহ প্রয়োজনীয়  পরামর্শ  দিচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবন,ব্যবসা  শিক্ষা অনুষদ,কার্জনহল , মধুর ক্যান্টিন,  টিএসসি প্রভৃতি এলাকা ঘুরে দেখা  গেছে,  ছাত্রলীগ,ছাত্র ইউনিয়ন  , পার্বত্য চট্টগ্রাম  পাহাড়ি  ছাত্র পরিষদ, ও পার্বত্য  বাঙ্গালী  ছাত্র উন্নয়ন সংসদ সহ বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা  ভিত্তিক নানা সংগঠনের রং বেরঙের  ব্যানারের সমাহার। এসব সংগঠনের কোনটা জেলার নামে , আবার  কোন  জেলা দিয়ে প্রবাহিত  নদীর নামে , আবার  কোনটি বিখ্যাত জায়গার নামে।
যেমন, সিরাজ গঞ্জের শিক্ষার্থীদের সংগঠনের নাম ‘ যমুনা’,খুলনার ছাত্র কল্যাণ  পরিষদের নাম ‘সুন্দরবন।  তিন পার্বত্য জেলার বাঙ্গালী  ছাত্রদের সংগঠন ‘পার্বত্য ছাত্র উন্নয়ন সংসদ’।এসব সংগঠনকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করে সংশ্লিষ্ট এলাকার বিত্তবান  , দানবীর ও ঢাবি থেকে পাস করে বর্তমানে চাকুরীরত সাবেক শিক্ষার্থীরা।এ পসঙ্গে,পার্বত্য  ছাত্র উন্নয়ন সংসদের প্রধান পৃষ্টপোষক মো : আলমগীর হোসেন জানান,’ পার্বত্য চট্টগ্রাম শিক্ষা- দীক্ষায়  অনেক পিছিয়ে । তাই তাদের কে শিক্ষার ক্ষেত্রে এগিয়ে আনতে  আমরা পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র উন্নয়ন সংসদ  প্রতিষ্ঠা করি।আমি শুরু থেকে  ছাত্রদের নানাভাবে সহযোগিতা করে আসছি। অনেকে আবার ফেসবুকে রঙিন ব্যানার  তৈরী করে প্রচারণা চালাচ্ছে। যেমন ঢাকা ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন  অব পেকুয়া(  ডুসাপ) তাদের  সংগঠনের নেতাদের নাম্বার  সম্বলিত ব্যানার  তৈরী করে দীর্ঘ দিন যাবত প্রচারণা চালাচ্ছে।এ প্রসঙ্গে ডুসাপের সভাপতি ওয়াহিদুল ইসলাম জানান,’ সময় বদলে গেছে।তাই আমরা  সমাজের সকলের কাছে আমাদের ডুসাপের কর্মকাণ্ড পৌছে দিতে ফেসবুকে প্রচারণা চালাচ্ছি।