নিউজ ডেস্ক:
মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর চলমান সহিংসতা বন্ধে আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। একইসঙ্গে মিয়ানমারের সেনাপ্রধান মিন অং হলাইংয়ের কাছে কয়েকটিও দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি।

দাবিগুলো হলো, চলমান সহিংস সামরিক অভিযান ও মানবাধিকার লঙ্ঘন অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে; রাখাইন রাজ্যে জাতিসংঘ প্রতিনিধি, সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী ও মানবাধিকার পর্যবেক্ষকদের অবাধ ও নির্বিঘ্নে প্রবেশ করার সুযোগ দিতে হবে। একইসঙ্গে তাদের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করতে হবে।

অ্যামনেস্টির প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমারে চলমান সহিংসতার কারণে দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে দেশটি থেকে আড়াই লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে সেখানে হত্যাযজ্ঞ চালানো হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। স্যাটেলাইট ইমেজে দেখা গেছে, রাখাইন রাজ্যে গ্রামের পর গ্রাম পুড়ে খাগ হওয়ার দৃশ্য। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

মাছ ধরার নৌকায় করে সাগর ও নদী পাড়ি দিয়ে অনেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসছে। এটি করতে গিয়ে অনেকে তাদের জীবন ঝুঁকির মুখে ফেলছে। এ সময় তাদের ওপর মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী হামলা চালায় বলে শরণার্থীরা নিশ্চিত করেছে।

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে কক্সবাজারে ঢুকে পড়া রোহিঙ্গাদের স্রোত। ছবিটি ৮ সেপ্টেম্বর তোলা।

রাখাইন রাজ্যের পাহাড়ে হাজারো মানুষ যার বেশির ভাগই রোহিঙ্গা, অসহায় ও নিরুপায় অবস্থায় পড়ে আছে। সেখানে তাদের জন্য নেই জীবন রক্ষার ন্যূনতম কোনো উপকরণ। কেননা ওই এলাকায় বেসরকারি সংস্থা ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর যাওয়ার অনুমতি নেই।

এবারই যে প্রথম রোহিঙ্গারা দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নির্যাতিত হয়েছে, এমনটা নয়। গত বছরও তাদের কাছে রোহিঙ্গারা নির্যাতন ও ধর্ষণের শিকার হয়েছে। অনেককে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। অনেকের বাড়িঘর ও সম্পত্তি পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

সংস্থাটির ভাষ্য, “আমরা মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও নিরাপত্তা বাহিনীকে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের জঘন্য সহিংসতা চালিয়ে যেতে দিতে পারি না।”