প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
কলেজের গন্ডিতে পা রেখে শিক্ষার্থীদের খুব একটা ছবি আঁকা হয় না। কিন্তু তারপরও চেতনায় জেগে থাকা প্রীতি নিয়ে বঙ্গবন্ধু’র প্রতিচ্ছবি রংতুলিতে হুবহু তুলে ধরার চেষ্টা করে সালমা মেহের।
বুধবার কক্সবাজার সরকারি কলেজে বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকী ও শোকের মাস আগষ্ট উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু ও ১৫ আগষ্টের ঘটনার উপর ছবি অংকন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে কলেজ ছাত্রলীগ। ওই প্রতিযোগিতায় বঙ্গবন্ধুর ছবি আঁকে সালমা মেহের। তিনি একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। তাঁর মত এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় ১০০ জন সাধারণ শিক্ষার্থী।
সালমা মেহের বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াকালিন ছবি আঁকতেন। মাধ্যমিকে এসেও তেমন ছবি আঁকা হয়নি। কিন্তু কয়েকদিন আগে যখন শুনে বঙ্গবন্ধু’র ছবি অংকন প্রতিযোগিতা; তখন খুব আগ্রহী হয়ে উঠে।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু’র ছবি দেখতে খুব ভাল লাগে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে যখন থেকে বঙ্গবন্ধু’র ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারি তখন থেকেই হৃদয়ে গেঁথে যান তিনি। সেই প্রীতি আর চেতনা থেকে ছবিটি আঁকা হয়। ছবিটি আঁকার অনুভূতি জানাতে গিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন তিনি।
বুধবার সকাল ১১ টায় কলেজের প্রশাসনিক ভবনের মিলনায়তনে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। বঙ্গবন্ধুর ছবি অংকন ছাড়াও ১৫ আগষ্টের ঘটনার উপর রচিত কবিতা আবৃতি ও রচনা প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয় বলে জানান কক্সবাজার সরকার কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি জাকের হোসাইন ও সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন।
তাঁরা বলেন, বঙ্গবন্ধুর ছবি অংকন প্রতিযোগিতায় ১০০ জন, কবিতা আবৃতিতে ৮০ জন ও রচনা প্রতিযোগিতায় ৫০ জন সাধারণ শিক্ষার্থী অংশ নেন। তিন বিভাগে তিন জন করে নয়জনকে পুরস্কৃত করা হবে। আগামি ২৪ আগষ্ট কলেজ ক্যাম্পাসে পুরস্কার বিতরনী ও ১৫ আগষ্টের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হবে।
কক্সবাজার সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি জাকের হোসাইন বলেন, ১৫ আগষ্ট উপলক্ষে কলেজ ছাত্রলীগের মাসব্যাপী কর্মসূচি রয়েছে। তাদের কমিটি হওয়ার পর থেকে গতানুগতিকের বাইরে গিয়ে একটু ভিন্ন কিছু করার চেষ্টা করে। সেই হিসাবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বঙ্গবন্ধুর ছবি অংকনের মত প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। একাদশ থেকে অনার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীরাও বেশ আগ্রহ নিয়ে এতে অংশ নিয়েছেন। এবং অনেক চমৎকাভাবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি তারা রংতুলিতে ফুটিয়ে তুলেছেন।
তিনি বলেন, সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্টান গুলোতে অন্তত আগষ্ট মাসে যদি বঙ্গবন্ধুর ছবি অংকন বা রচনা প্রতিযোগিতা হয় তাহলে নতুন প্রজন্মের মধ্যে বঙ্গবন্ধু প্রীতি জাগ্রত হবে। সেখান থেকেই দেশাত্ববোধ হৃদয়ে জেগে উঠবে। তখন আর কেউ ব্রেইন ওয়াশ করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিপদগামি করার সুযোগ পাবে না।
সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে ছবি অংকন প্রতিযোগিতা পরিদর্শনে যান কলেজে অধ্যক্ষ অধ্যাপক একেএম ফজলুল করিম চৌধুরী। তাঁর সঙ্গে কলেজের শিক্ষক মুজিবুল ইসলাম ও গিয়াস উদ্দিন।
অধ্যক্ষ একেএম ফজলুল করিম চৌধুরী বলেন, তাঁর সময়ে এই প্রথমবার বঙ্গবন্ধু’র ছবি অংকন এবং রচনা প্রতিযোগিতা হয়েছে। এটি সত্যিই অসাধারণ একটি উদ্যোগ। এটা অব্যাহত রাখার জন্য ছাত্রলীগকে নির্দেশনা দেন তিনি।
তিনি বলেন, ছবি আঁকার মধ্য দিয়ে একজন সাধারণ শিক্ষার্থীর মধ্যে বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রীতি বেড়ে যায়। এই ছবির আকার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রকৃত চেতনা জাগ্রত হবে। ফলে সহজে আর বিপদগামি হবে না কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।