মোঃ রেজাউল করিম, ঈদগাঁও:
বৃহত্তর ঈদগাঁওর বন্যা কবলিত অসহায় ও দূর্দশাগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ালেন সাবেক সাংসদ লুৎফর রহমান কাজল। তিনি সরেজমিন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ও ভাঙ্গন পরিদর্শন এবং বানবাসী মানুষের জন্য নিজস্ব তহবিল থেকে ত্রাণ বিতরণের ব্যবস্থা করলেন। দূর্যোগ কবলিত এলাকায় উক্ত ত্রাণ তৎপরতা এখনো বিদ্যমান রয়েছে। প্রথম দফে তিনি ঈদগাঁও সাংগঠনিক উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ব্যবস্থাপনায় ঈদগাঁওর কানিয়াছড়া, মন্ডল পাড়া, চৌধুরী পাড়া, ভোমরিয়াঘোনা, জালালাবাদের লরাবাক, মোহনবিলা, পূর্ব, পশ্চিম ও উত্তর পালাকাটা, সওদাগর পাড়া, বাজার এলাকা, ইসলামাবাদের গজালিয়া, ওয়াহেদর পাড়া, পূর্ব বোয়ালখালী, হাজী পাড়া, পোকখালীর প্রত্যন্ত এলাকায় চিড়া, গুড়, চিনিসহ শুকনো খাবার বিতরণ করেন। স্থানীয় দলীয় নেতাকর্মীরা বন্যার্তদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে এ ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছেন। দ্বিতীয় দফে পর্যায়ক্রমে অন্য ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় চালসহ শুকনো খাবার বিতরণের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছে বিএনপি সূত্র। এদিকে সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল কর্তৃক বিএনপি খালি হাতে ত্রাণ বিতরণের নামে জনগণের সাথে তামাশা করছেন এমন সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ঈদগাঁও সাংগঠনিক উপজেলা বিএনপি পরিবারের পক্ষে সাধারণ সম্পাদক শওকত আলম বলেন, বিএনপি গণমানুষের দল। আমরা সবসময় জনগণের পাশে ছিলাম, পাশে আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব। খালি হাতে মডেলিং বা লোক দেখানো নয়। বাস্তবিকই আমরা সাবেক সাংসদ ও কেন্দ্রীয় বিএনপির মৎস্যজীবী সম্পাদক লুৎফুর রহমান কাজলের পক্ষ থেকে ঈদগাঁওবাসীর দুঃখ লাঘবে কিছুটা হলেও চেষ্টা করছি। বর্তমান সাংসদের মত গাড়ি ঘোড়ার বহর নিয়ে মাথায় বস্তা বহন করে লোক দেখানো ত্রাণ বিতরণ ও সহায়তায় আমরা বিশ^াসী নই। আমাদের নেতার নির্দেশনা হচ্ছে, কেউ না জানে এমন করে ঘরে ঘরে ত্রাণ পৌঁছে দিতে হবে। আমরা তার এ পদাংকই অনুসরণ করছি। যার বাস্তব প্রমাণ উপরের খন্ডচিত্রগুলো।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।