তৌহিদুল আরব, ডুলাহাজারা সাফারী পার্ক থেকে ফিরে,
কক্সবাজারের চকরিয়ায় ঈদের টানা ছুটিতে ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে অন্যান্য বছরের তুলনায় রেকর্ড সংখ্যক দর্শনার্থী সমাগম ঘটেছে। আবহাওয়ার পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় ঈদের ৩য় দিনেও ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে পর্যটকের উপচেপড়া ভীড় জমেছে। সোমবার ঈদের দিনের ন্যায় ২য় দিনেও একই চিত্র পাওয়া গেছে। ত্রিমূখী টিকিট কাউন্টারের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল বিরতিহীন ভাবে টিকেট বিক্রি করে যাচ্ছে। তবে মাঝে মধ্যে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হওয়ায় দশনার্থীদের উপস্থিতি কমে আসতে পারে বলে ধারণা করছেন সচেতন মহল।
    ভ্রমণে আসা পর্যটকের সাথে কথা বলে জানা যায় গত বছরের চাইতে এবছর পার্কের অবস্থা অনেক পরিবর্তন হয়েছে পশু-পাখি বৃদ্ধি করা হয়েছে। পর্যটকের নিরাপত্তার জন্য আইন-শৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহীনি টহল মোতায়েন করা হয়েছে। পার্কের আশে-পাশে কোন উন্নত মানের হোটেল রেস্টুরেন্ট না থাকায় বিপাকে পড়েছে ভ্রমনে আসা লোকজন। সাফারি পার্কের ইনচার্জ বিট কর্মকর্তা মাজাহারুল ইসলাম ছুটিতে থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। দায়িত্বরত কর্মকর্তা নুরুল হুদা জানান, গত বছরের তুলনায় এবছর অনেক বেশি দর্শণার্থী সমাগম ঘটেছে। পার্কের সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার করতে বেশ কিছু পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, পার্কের মাঝ দিয়ে চলে যাওয়া আঁকাবাঁকা সড়কের দুই পাশের গাছ-গাছালি, বনজঙ্গল ও বিশাল লেক ঘিরে হাজার হাজার দর্শনার্থী পশু-পাখি দেখতে ভিড় করেছে। পার্কে রয়েছে, বাঘ, সিংহ, হরিণ, হাতি, উটপাখি, সাম্বার, মযূর, সারস পাখি, উটপাখি, কুমির, জলহস্তী, মায়া হরিণ, চিতা হরিণ, ভাল্লুক,, খরঘোশ, অজগর, বন্যশুক্রর, বানর, কালো শিয়াল, উল্টোলেজী বানর, লাম চিতা, হনুমান, কচ্ছপ, প্রায় ৭০ প্রজাতির পশুপাখি।
বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ ও বণ মন্ত্রনালয় কর্তৃক ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কটি ২০০৯ সালে প্রতিষ্টিত হয়। ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের সার্বিক অবকাঠামো উন্নয়নে দেশ-বিদেশ থেকে হরেক প্রজাতির প্রাণী সংগ্রহ করে এখানে সংরক্ষণ করা হয়েছে বলে জানান পার্ক ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ বিভাগ।