আতিকুর রহমান মানিক
ক্যালেন্ডারের পাতায় আজ ২৩ জুন। বাঙ্গালী জাতির জন্য চরম বেদনাদায়ক ঐতিহাসিক পলাশী দিবস আজ। ২৬০ বছর আগে আজকের দিনে দেশীয় কিছু বিশ্বাসঘাতক ও কুলাঙ্গারের কারনে বাঙালির ইতিহাসের এক কালো অধ্যায় রচিত হয়েছিল। ক্ষমতালোভী একদল দেশীয় নরপশুর বিশ্বাসঘাতকতার ফলে প্রায় দুইশ বছরের গোলামীর জিঞ্জিরে আবদ্ধ হয়েছিল আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি। দেশীয় একদল বিশ্বাসঘাতকের পাপের দায়শোধে ১৯০ বছরের পরাধীনতা ও হাজারো প্রানের মাশুল দিয়েছে এ জাতি। বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজ-উ-দ্দৌলার বিরূদ্ধে ধারাবাহিক প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের অনিবার্য পরিণতিতে আজ থেকে দুইশত ষাট বছর আগে ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পশ্চিম বঙ্গের ভাগীরথী নদীর তীরে পলাশীর আমবাগানে নবাবের বাহিনীর মুখোমুখি হয় ইংরেজ বাহিনী। যুদ্ধের নামে ভয়ংকর এক বিশ্বাসঘাতকতা ও প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে পরাজিত হন বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজ উদ-দৌলা। এই পরাজয়ের মধ্য দিয়ে অস্তমিত হয় বাংলার স্বাধীনতার শেষ সূর্য, যার মাশুল দিতে হয়েছে পরবর্তী ১৯০ বছর ধরে।
ইতিহাস থেকে জানা যায়, নবাব আলীবর্দী খাঁর পর ১৭৫৬ সালের ১০ এপ্রিল সিরাজ উদ-দৌলা বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার সিংহাসনে আসীন হন। তখন তার বয়স মাত্র ২২ বছর। স্বাধীনচেতা ও টগবগে তরুণ নবাবের সঙ্গে ইংরেজদের বিভিন্ন কারণে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়।
এ ছাড়া, রাজ সিংহাসনের জন্য লালায়িত ছিলেন, সিরাজের পিতামহ আলীবর্দী খাঁর বিশ্বস্ত অনুচর মীর জাফর ও আপন খালা ঘষেটি বেগম। ইংরেজদের সঙ্গে তারা যোগাযোগ স্থাপন করে নবাবের বিরুদ্ধে নীলনকশা পাকাপোক্ত করে। দিন যতই গড়াচ্ছিলো এ ভূখণ্ডের আকাশে ততই কালো মেঘ ঘনীভূত হচ্ছিল। ১৭৫৭ সালের ২৩ এপ্রিল কলকাতা পরিষদ নবাবকে সিংহাসনচ্যুত করার পক্ষে প্রস্তাব পাস করে। এই প্রস্তাব কার্যকর করতে ইংরেজ সেনাপতি লর্ড ক্লাইভ রাজ দরবারের অভিজাত সদস্য উমি চাঁদকে এজেন্ট নিযুক্ত করেন।
এ ষড়যন্ত্রের নেপথ্য নায়ক মীর জাফর, তা আঁচ করতে পেরে নবাব তাকে প্রধান সেনাপতির পদ থেকে অপসারণ করে আব্দুল হাদীকে অভিষিক্ত করেন। কিন্তু কূটচালে পারদর্শী মীর জাফর পবিত্র কোরআন শরীফ ছুঁয়ে শপথ করায় নবাবের মন গলে যায় এবং মীর জাফরকে প্রধান সেনাপতি পদে পুনর্বহাল করেন।
সমসাময়িক ঐতিহাসিকরা বলেন, এই ভুল সিদ্ধান্তই নবাব সিরাজের জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়। ইংরেজ কর্তৃক পূর্ণিয়ার শওকত জঙ্গকে সাহায্য করা, মীরজাফরের সিংহাসন লাভের বাসনা ও ইংরেজদের পুতুল নবাব বানানোর পরিকল্পনা, ঘষেটি বেগমের সঙ্গে ইংরেজদের যোগাযোগ, নবাবের নিষেধ সত্ত্বেও ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গ সংস্কার, কৃষ্ণ বল্লভকে ফোর্ট উইলিয়ামে আশ্রয় দান প্রভৃতি কারণে ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন ভাগীরথী নদীর তীরে পলাশীর আমবাগানে সকাল সাড়ে ১০টায় ইংরেজ ও নবাবের মধ্যে যুদ্ধ সংঘটিত হয়।
মীর মদন ও মোহন লালের বীরত্ব সত্ত্বেও জগৎশেঠ, রায় দুর্লভ, উমি চাঁদ, ইয়ার লতিফ প্রমুখ কুচক্রী প্রাসাদ ষড়যন্ত্রকারীদের বিশ্বাসঘাতকতার ফলে নবাবের পরাজয় ঘটে। সেই সঙ্গে বাংলার স্বাধীনতার সূর্য পৌনে দুই শ বছরের জন্য অস্তমিত হয়। পরাজয়ের পর নবাবের বেদনাদায়ক মৃত্যু হলেও উপমহাদেশের মানুষ নবাবকে আজও শ্রদ্ধা জানায়। তার সঙ্গে যারা বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল। তাদের কারো স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি। দেশমাতৃকার সাথে বিশ্বাসঘাতকরা অপঘাতে মৃত্যুর শিকার হয়েছিল সবাই।
ঐতিহাসিক মেলেসন পলাশীর প্রান্তরে সংঘর্ষকে যুদ্ধ বলতে নারাজ। তার মতে, নবাবের পক্ষে ছিল ৫০ হাজার সৈন্য আর ইংরেজদের পক্ষে মাত্র ৩ হাজার সৈন্য কিন্তু প্রাসাদ ষড়যন্ত্রকারী ও কুচক্রী মীরজাফর, রায় দুর্লভ ও খাদেম হোসেনের অধীনে নবাব বাহিনীর একটি বিরাট অংশ পলাশীর প্রান্তরে ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে কার্যত কোনো অংশগ্রহণই করেনি। এই কুচক্রীদের চক্রান্তে যুদ্ধের প্রহসন হয়েছিলো।
ইতিহাসবিদ নিখিল নাথ রায়ের লেখা মুর্শিদাবাদ কাহিনী থেকে জানা যায়, নবাবের সেনা বাহিনীর তুলনায় ইংরেজদের সেনা সংখ্যা ছিল অনেক কম। সেখানে বিশ্বাসঘাতকতা না হলে নবাবের বিজয় ছিল সুনিশ্চিত।
আরেক ঐতিহাসিক ড. রমেশ চন্দ্র বলেন, নবাব ষড়যন্ত্রকারীদের গোপন ষড়যন্ত্রের কথা জানার পর যদি মীর জাফরকে বন্দি করতেন, তবে অন্যান্য ষড়যন্ত্রকারী ভয় পেয়ে যেত এবং ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হলে পলাশীর যুদ্ধ হতো না।
ইতিহাসবিদ মোবাশ্বের আলী তার বাংলাদেশের সন্ধানে লিখেছেন, নবাব সিরাজ উদ-দৌলা প্রায় লাখ সেনা নিয়ে ক্লাইভের স্বল্পসংখ্যক সেনার কাছে পরাজিত হন মীর জাফরের বিশ্বাসঘাতকতায়।
যুদ্ধশেষে সন্ধ্যা নেমেছিল, অস্ত গিয়েছিল সূর্য। তবে মীর জাফর প্রমুখের বিশ্বাসঘাতকতায় পলাশীর আম্রকাননে সেদিন আরেকটি সূর্য অস্ত গিয়েছিল। তা হল, বাংলার স্বাধীনতার সূর্য। এরপর থেকে সূদীর্ঘ ১৯০ বছরের গোলামীর জিঞ্জিরে আবদ্ধ হয়ে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি। কিন্তু যে লোভে পড়ে এরা দেশ-জাতির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল, তা কি আদৌ পেয়েছিল ? না পায়নি। বরং তারা অত্যন্ত করুন পরিনতির শিকার হয়েছিল। আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে দুনিয়াতেই প্রায় সময়ই বেঈমানদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়। তার প্রতিশোধ হয় বড় নির্মম ও ভয়ঙ্কর। মীরজাফর সিরাজউদ্দৌলার সিপাহসালার থাকাকালীন বয়স হয়েছিল ৮০ বছরের মতো। সিরাজের হত্যার পর ইংরেজরা তাকে সিংহাসনে বসায় তবে তা ছিল তাদের অধীনস্থ কর্মচারীর মতো। ইতিহাসে তাকে বলা হয় ‘ক্লাইভের গাধা’। চার বছর নবাব পদে রাখা হয়েছিল, আবার দুর্নীতির জন্য দুই বছর বহিষ্কার করা হয়। তার জামাতা মীরকাশিমকে দুই বছরের জন্য নবাবের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। কিন্তু মীর কাশিমের স্বাধীনতাকামী আচরণে দুই বছর সিংহাসনে রাখার পর তাকে বহিষ্কার করে আবার মীরজাফরকে সিংহাসনে বসানো হয়। দুই বছর পর তাকে আবার বহিষ্কার করে সরাসরি ইংরেজ সরকার ক্ষমতা দখল করে নেয়।
মীরজাফরের পতন হয় বড় মর্মান্তিক অবস্থায়। কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত হয় মীরজাফর। তার শরীরে অসংখ্য ঘা ও ফোঁড়া হয়ে দূষিত রক্ত ও পুঁজ পড়ে দুর্গন্ধ বের হয়। এ অবস্থায় পরিবারের লোকেরা তাকে লোকালয়হীন জঙ্গলে রেখে আসে। রাজা নন্দকুমার কিরিটেশ্বরী দেবীর পা ধোয়া পানি ওষুধ হিসেবে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করে দেয়। এভাবে ঈমান পর্যন্ত নষ্ট করে সে মৃত্যুবরণ করে। বাংলাদেশসহ এ এলাকার মানুষ বেঈমান বলতে মীরজাফর শব্দ যুগ যুগ ধরে ব্যবহার করে আসছে।
মীরজাফরপুত্র মীরন সিরাজউদ্দৌলাকে হত্যা থেকে শুরু করে বহু অপকর্মের নায়ক। ঐতিহাসিকরা বলেন, সে বজ্রাঘাতে মৃত্যুবরণ করেছে, আবার কেউ কেউ বলেন, জনৈক ইংরেজ সেনাপতি তার বাড়াবাড়ি দেখে তাকে গুলি করে হত্যা করে। সিরাজউদ্দৌলার খালা ঘসেটি বেগম যিনি রক্ত সম্পর্কীয় হওয়া সত্ত্বেও ষড়যন্ত্রকারীদের অন্যতম ছিলেন। তাকে মীরন বুড়িগঙ্গা নদীতে নৌকা ডুবিয়ে হত্যা করে।
মোহাম্মদী বেগ ছিল আমেনা-জয়েনউদ্দীনের পালিত পুত্র। সিরাজের মা-বাবা সিরাজ জন্মের আগে তাকে রাস্তা থেকে কুড়িয়ে এনে লালন-পালন করেন। তার বিয়েতে মুর্শিদাবাদ রাজ প্রাসাদে ধুমধামের বন্যা বয়ে যায়। সেই মোহাম্মদী বেগ মাত্র ১০ হাজার টাকার লোভে কারাগারে সিরাজকে নির্মমভাবে হত্যা করে। পরে সে পাগল হয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে পানিতে ডুবে মারা যায়।
মীরজাফরের জামাতা মীরকাশিম সিরাজকে ভগবান গোলা থেকে ধরিয়ে দেয়। সিরাজ-পরবর্তী স্বাধীন নবাব তাকে বলা হয়। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন ইংরেজদের চরিত্র। তাকে ইংরেজরা ক্ষমতাচ্যুত করার পর পথে পথে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। একদিন সকাল বেলায় তার লাশ মুঙ্গের দুর্গের সামনে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
বায়দুর্লভ ও জগৎ শেঠকে ক্ষমতায় থাকাকালে মীরকাশিম দুর্গশিখর থেকে গঙ্গায় নিক্ষেপ করেন ক্ষমতায় থাকাকালে তাদের বেঈমানির জন্য। রাজা রাজবল্লভকে গলায় বালুর বস্তা বেঁধে গঙ্গা নদীতে ফেলে দেয়া হয় এবং ওই অবস্থায় সে মৃত্যুবরণ করে। ইয়ার লতিফ খাঁ নিরুদ্দেশ হয়। উমীচাঁদ ২০ লাখ টাকা না পেয়ে শোকে পাগল হয়ে যায়। পরে কুষ্ঠরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।
মাত্র ৮০ টাকা বার্ষিক বেতন নিয়ে কেরানি ইস্টইন্ডিয়া কোম্পানিতে ১৭৪৪ সালে মাদ্রাজে খ্যাতিহীন, বিত্তহীন, ক্লাইভ বিলাত থেকে আসে।
১৭৬০ সালে সেনানায়ক কর্নেল ক্লাইভের জাহাজ যখন পোর্টস মাউথ বন্দরে এসে থামল, তখন ইংল্যান্ডের ম্যানুয়েল রেজিস্টারে তার সম্পর্কে মন্তব্য ছিল ‘এই কর্নেলের কাছে নগদ টাকা আছে প্রায় দুই কোটি টাকা। তার স্ত্রীর গয়নার বাক্সে মণিমুক্তা, হীরা ও জহরত আছে দুই লাখ টাকার। ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডে তার চেয়ে অধিকতর অর্থ নেই আর কারো কাছে।’
ক্লাইভ সিরাজের প্রতি নিষ্ঠুর আচরণের জন্য মীরজাফর ও মীরনকে প্ররোচিত করেছে। সিরাজের মৃত্যুদণ্ডাজ্ঞায় সই করতে মীরজাফরকেও প্ররোচিত করে। মোহাম্মদী বেগকে হত্যার জন্য সে মীরনকে টাকা দিতে বলেছে।
ক্লাইভ বাংলা লুণ্ঠনের দায়ে বিলাতে দুর্নীতি মামলায় সাত বছর জেল খেটে কপর্দকহীন হয়ে পড়ে। পরে এ অবস্থায় টেমস নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করে। ডা: হল ওয়েলের স্ত্রী তাকে রেখে অন্য যুবকের সাথে চলে গেলে সে আত্মহত্যা করে। ঘৃণ্য মীর জাফরের কুষ্ঠরোগে মৃত্যু হয়। ঘষেটি বেগমের মৃত্যু হয় বুড়িগঙ্গায় ডুবে। দেশমাতৃকার সাথে বিশ্বাসঘাতকতাকারী বেঈমানদের এভাবেই অপঘাতে মৃত্যু হয়েছিল।
কিন্তু এতেই কি শেষ?
রোজ কিয়ামত তক এরা বিশ্বাসঘাতক হিসাবেই পরিচিত হবে। আজ সিরাজও নেই বিশ্বাসঘাতকের দলও নেই। কিন্তু ইতিহাস রয়ে গেছে। আর ইতিহাসের পাতায় নবাব সিরাজ-উ-দ্দৌলা’র নাম লিপি হয়েছে বীর শহীদ হিসাবে, ষড়যন্ত্রকারীরা চিত্রিত হয়েছে কুলাঙ্গার হিসাবে। মেকি ক্ষমতার লোভে দেশ-জাতির সাথে বিশ্বাসঘাতকদের জন্য এটাই বড় শিক্ষা।
বিশ্বাসঘাতক, ষড়যন্ত্রকারী, পররাজ্যলোভী মীর জাফর, জগৎ শেঠ, লর্ড ক্লাইভ ও ঘষেটি বেগমদের সুযোগ সন্ধানী প্রেতাত্নারা কিন্তু এখনো ঘুরে বেড়াচ্ছে বিশ্বব্যাপী। চোখকান একটু খোলা রাখলেই আমাদের চারপাশে এদের বিষাক্ত নিঃশ্বাস টের পাওয়া যাবে। এদের মত কুলাঙ্গারদের কারনে যেন আর কোন দেশ ও জাতির স্বাধীনতা বিপন্ন না হয়। পলাশীর বিয়োগান্তক ঘটনা থেকে আমাদের শিক্ষা নেয়ার আছে অনেক কিছুই। ক্ষমতালোভী মীর জাফর ও তার দলবল দু’দিনের নবাবীর বিনিময়ে আজীবনের জন্য পেয়েছে বিশ্বাসঘাতকতার দুনিয়াজোড়া খেতাব, মৃত্যুর পরেও যা মুছে যায়নি। এরা নিকৃষ্ট ও ঘৃনিত হিসাবেই পরিচিত হচ্ছে ও হবে চিরদিন। বিশ্বাসঘাতকদের পরিনতি এমনই হয়। আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বে তিলমাত্র হুমকি এলেও দুনিয়ার কোন শক্তি ও ব্যক্তিকে বিন্দুমাত্রও ছাড় দেয়া হবেনা, পলাশী দিবসের এ দিনে এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।

আতিকুর রহমান মানিক,
ফিশারীজ কনসালটেন্ট, সংবাদকর্মী ও সংগঠক।
চীফ রিপোর্টার, দৈনিক আমাদের কক্সবাজার।
মুঠোফোন – ০১৮১৮-০০০২২০