শুল্ক গোয়েন্দার উপ-পরিচালক (ডিডি) জাকির হোসেনের নেতৃত্বে সীমান্ত স্কয়ারের আপন জুয়েলার্স শাখার স্বর্ণ জব্দের কাজ চলছে। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা কাস্টম হাউজের গোডাউন কর্মকর্তাকে বুঝিয়ে দেবো। আইন অনুযায়ী প্রথমে তিনি বুঝে নেবেন। এরপর তিনি বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তাদের কাছে বুঝিয়ে দেবেন। আমরা বর্তমানে জব্দের তালিকা করছি।’
মৌচাক শাখায় স্বর্ণ জব্দ অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ডিডি সাইফুর রহমান। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ঢাকা কাস্টম হাউজের গোডাউন কর্মকর্তা আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। আমাদের কাছে আগেই জব্দের তালিকা ছিল। সেটা মিলিয়ে হিসাব অনুযায়ী গোডাউন কর্মকর্তাকে বুঝিয়ে দিচ্ছি। তার মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকে কোনও গ্রাহক আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। আর সেরকম সুযোগও আজকে নেই।’
এর আগে শনিবার ডিজি মইনুল খান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছিলেন, ‘আমরা র্যাব ও পুলিশের সহযোগিতা চেয়েছি। কাল (রবিবার) একদিনেই সব কাজ সেরে ফেলবো।’
তিনি আরও জানান, এসব সোনা-হীরা ঢাকা কাস্টমস হাউসের শুল্ক গুদামের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেওয়া হবে। এরপর আইনি প্রক্রিয়ায় জব্দকৃত সোনা ও হীরা শুল্ক আইন অনুযায়ী নিষ্পত্তি করা হবে। শুল্ক গোয়েন্দার ৫টি দল রবিবার সকাল থেকে এই জব্দ ও স্থানান্তর প্রক্রিয়া তদারকি করবেন।
প্রসঙ্গত, ১৪ ও ১৫ মে শুল্ক গোয়েন্দারা আপন জুয়েলার্সের গুলশান ডিসিসি মার্কেট, গুলশান এভিনিউ, উত্তরা, সীমান্ত স্কয়ার ও মৌচাকের ৫টি শোরুমে অভিযান চালিয়ে প্রায় সাড়ে ১৩ মণ সোনা ও ৪২৭ গ্রাম হীরা সাময়িকভাবে আটক করে। এসব সোনা ও হীরার ব্যাপারে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও ব্যাখ্যা দিতে পারেনি আপন জুয়েলার্সের মালিকপক্ষ। এগুলো পরে আইনানুগভাবে প্রতিষ্ঠানের জিম্মায় দেওয়া হয়। এরপর আত্মপক্ষ সমর্থনে আপন জুয়েলার্স কর্তৃপক্ষকে ৩ বার শুনানির সুযোগ দিলেও তারা এসব সোনা-হীরার কোনও প্রকার বৈধ কাগজ দেখাতে পারেনি। তবে আপন জুয়েলার্সের মালিকপক্ষের দেওয়া ১৮২ জনের তালিকার মধ্যে ৮৫ জন প্রকৃত গ্রাহককে মেরামতের জন্য জমা রাখা প্রায় ২.৩ কেজি স্বর্ণালঙ্কার অক্ষত অবস্থায় ফেরত দেওয়া হয়েছে।