পতিতালয়ে জীবন

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল, ২০১৭ ১২:৩৩

পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে


টাংগাইলের কান্দা পাড়া পতিতালয়

পৃথিবীর একটি প্রাচীন পেশা পতিতাবৃত্তি। আর টাংগাইলের কান্দাপাড়া বাংলাদেশের বৃহত্তম পতিতালয়। সেখানে ঘুরে  ইউকে ইন্ডিপেন্ডেন্ট পত্রিকায় কিনেথ ডিকমেন এই ফিচারটি লিখেন গত কিছুদিন আগে । সিবিএন এর পাঠকদের জন্যে ভাষান্তর করে ফিচারটি লিখেছেন ইংলিশ করেসপন্ডেন্স এমডি ম্যাক্স ।

খদ্দেরের অপেক্ষায় যৌনকর্মীরা

পতিতালয়ে জীবন

বাংলাদেশ পৃথিবীর কয়েকটি মুসলিম দেশের মধ্যে একটি যেখানে পতিতাবৃত্তি বৈধ। টাংগাইল জেলার কান্দাপারা বাংলাদেশের দিতীয় বৃহত্তম এবং সবচেয়ে প্রাচীন যেটি প্রায় দু’শত বছরের প্রতিষ্টাকাল অবধি চলছে।
এই পতিতালয়টি ২০১৪ সালে উচ্ছেদ করা হলেও স্থানীয় এনজিও এর মাধ্যমে আবারো জেগে উঠে। অনেকের জন্ম এখানে, বেড়ে উঠা এখানে, তাদের পরর্বতী জীবন কোথায় তারা তা জানেনা।

পাপিয়ার ৬ মাসের বাচ্চা

এই পল্লীর সমথকরা মনে করছেন, এই পতিতাবৃত্তি ও একটি কর্ম, এবং এখানে বসবাসরত নারীরা কোথাও যেতে চায়না, উচ্ছেদের সময়ে সবাই প্রতিবাদ করে, অবশেষে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবি পরিষদ উচ্চ আদালতের মাধ্যমে তাদের প্রত্যাবাসনের সূযোগ করে দেয়। ফলে এই যৌনকর্মীরা আবারো তাদের পূর্বের পেশায় ফিরে যায়।

প্রিয়া তার বন্ধুকে টিজ করছে
খদ্দেরের সাথে কাজল

বতমানে এই ‘ পতিতা শহর ‘ চারদিক থেকে দেওয়াল দিয়ে পরিবেষ্টিত, এর সংকীর্ণ পথের ভেতরেই রয়েছে সব দোকান,টি স্টল, এবং হরেক রকম বিক্রেতা। এই আবাসস্থলটি নিজস্ব আইনে পরিচালিত হয়, সমাজের গতানুগতিক জীবন ধারা থেকে কিছুটা ভিন্ন। উদাহরণ স্বরুপ বলা যায় , যখন কোন নতুন পতিতার অভিষেক হয় তাকে উপাধি দেওয়া হয় ‘ স্পেশাল’ হিসেবে । মুলত যারা ১২ থেকে ১৪ বছরের তরুণী তাদেরক এভাবে সম্বোধিত করা হয়।

এখানেই তাদের নাওয়া খাওয়া

এখানে কর্মরত  সব মেয়েরা দারিদ্রতার কষাঘাতে জর্জরিত। তারা সবাই প্রকৃত পক্ষে পাচারের শিকার। তাদের না আছে অধিকার, না আছে স্বাধীনতা, তাদের নেতৃত্বে আছেন একজন করে মক্কিরানী। তারা বাইরে যাওয়ার অনুমোদন পায়না । কেননা তারা ঋনভারে ‘ আপার’ কাছে দায়ী। যখন তারা ঋন পরিশোধ করতে পারবে তখন মিলবে স্বাধীনতা, স্বাভাবিকভাবে ঋন শোধ করতে ১ থেকে ৫ বছর সময় লাগে। এসময়ে তারা সেচ্ছায় অনত্রে চলে যেতে পারে আর ইচ্ছামত খদ্দের সরিয়ে দিতে পারে।

আসমার জন্ম এখানেই।

পায় আর্থিক স্বাধীনতা। তবে সমাজে নিগৃহীত বলে তারা সহজে বাইরে যেতে চায়না এবং তাদের উপার্জিত অর্থ দিয়ে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে। মূলত তারা আর অন্ধকার থেকে আলোতে আসার কোন সুযোগ পায় না ।

ভাষান্তর, এম, ডি, ম্যাক্স।