ডেস্ক নিউজ:
তৃণমূলে অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিরসনের উদ্যোগ নিয়েছে আওয়ামী লীগ। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে মাথায় রেখে আজ রবিবার (২৩ এপ্রিল) থেকে জেলা ও থানায় বিরাজমান কোন্দল নিরসনে মিশন শুরু হচ্ছে ক্ষমতাসীনদের।
এর অংশ হিসেবে বৈঠক করবেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। কোন্দলের কারণ কি তা চিহ্নিত করে সমস্যা সমাধানে নির্দেশনা দেবেন তিনি। বছরজুড়ে ধারাবাহিকভাবে কোন্দলপূর্ণ সব জেলার সঙ্গে আলোচনায় বসবে দলটি।
গত ১৯ এপ্রিল রাজধানীর ধানমণ্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সম্পাদকমণ্ডলীর এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে কোন্দল নিরসনের এই মিশন কতটা সুফল বয়ে নিয়ে আসবে তা নিয়ে কেন্দ্রীয় ও তৃণমূলের নেতারা সন্দিহান।আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারণী সূত্রগুলো এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সুফল নিয়ে সভাপতিমণ্ডলী ও সম্পাদকমণ্ডলীর অন্তত ছয় জন নেতা বলেন, ‘কোন্দল নিরসনে জেলার নেতাদের সঙ্গে বসে আমরা আলোচনা করবো। বিদ্যমান সমস্যা কি তা চিহ্নিত করার চেষ্টা থাকবে। তবে সুফল আসবে কিনা তা এখনই বলা যাবে না।’
এরই অংশ হিসেবে রবিবার চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার নেতাদের ঢাকায় তলব করা হয়েছে। এদিন বিকাল ৫টায় সাধারণ সম্পাদকসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত আরও তিনটি জেলার নেতাদের ঢাকায় ডেকে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ২৪ এপ্রিল যশোর, ২৫ এপ্রিল সাতক্ষীরা ও ২৭ এপ্রিল নীলফামারী জেলার নেতাদের ঢাকায় ডাকা হয়েছে।
জানা গেছে, দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিরোধ মীমাংসা করতে কোন্দলপূর্ণ জেলার দায়িত্বশীল সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সংশ্লিষ্ট থানার নেতাদের সঙ্গেও কথা বলবেন।
তবে বিরোধ মীমাংসায় সাধারণ সম্পাদক নয়, দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে বসতে চান তৃণমূলের নেতারা। তাহলেই সত্যিকার অর্থে বিরোধ মীমাংসা সম্ভব বলে মনে করেন তারা। চুয়াডাঙ্গা, নীলফামারী ও সাতক্ষীরার দায়িত্বশীল তিন নেতার সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। তারা নিজেদের জেলার বিরোধের কথা স্বীকার করে বলেছেন, ‘মীমাংসার জন্য সভাপতিকে হস্তক্ষেপ করতে হবে।’
কুষ্টিয়া জেলার সভাপতি সদর উদ্দিন খান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘কুষ্টিয়ায় দলে তেমন কোন্দল নেই। এখানে দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবউল আলম হানিফ দেখাশোনা করেন। তারপরও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ডেকেছেন আমাদের। আমরা মনে করি, অল্পস্বল্প যে সমস্যা আছে তা কেটে যাবে। দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা হস্তক্ষেপ করলে সমস্যা আরও দ্রুত সমাধান হবে।’
সবার মধ্যে সহযোগিতার মনোভাব থাকলে অভ্যন্তরীণ সমস্যা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব বলে মনে করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ। বাংলা ট্রিবিউনের কাছে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
কোন্দল কতখানি নিরসন হবে জানতে চাইলে তৃণমূলের এই নেতা বলেন, ‘এ বিষয়ে পরিষ্কার কিছু বলতে পারবো না। দেখা যাক কি হয় বৈঠকে। সমাধান না এলে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা হস্তক্ষেপ করবেন শেষ পর্যায়ে। সাধারণ সম্পাদকের পরে সভাপতি নিশ্চয়ই দেখবেন।’
এ আলোচনার মাধ্যমে কোন্দল নিরসন কতখানি সম্ভব হবে তা নিশ্চিত নন সাতক্ষীরা জেলার সভাপতি মনসুর আহমেদ। তিনি বলেন,‘কোন্দল মীমাংসায় সবাইকে ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে একমত হতে হবে। তাহলেই সুফল আসতে পারে।’
নীলফামারী জেলার সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ বলেন, ‘আলোচনায় কোনও সমাধান হবে কিনা কিংবা কেন্দ্রীয় নেতারা কী নির্দেশনা দেবেন, কিছুই জানি না। সমস্যার সমাধানও কতটা হবে সেটাও নিশ্চিত নয়।’
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।