আবদুল মজিদ, চকরিয়া:
গত তিনদিনের বৃষ্টিতে চকরিয়া উপজেলার কাকারা ইউনিয়নে উত্তর নলবিলায় এলাকায় বোরো ধান চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। হাজার হাজার একর কৃষকের পাকা ধান এখনো পানির নিচে তলিয়ে গেছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে কৃষকের মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন বলে জানিয়েছেন কাকারা ইউপি চেয়ারম্যান শওকত ওসমান।
উত্তর নলবিলা এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা জানান, গত তিনদিন ধরে মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। অব্যাহত বৃষ্টিতে কাকারা ইউনিয়নের ফসলী জমি ও বোরো চাষে মারাত্মকভাবে ক্ষতি হয়েছে। উত্তর নলবিলা এলাকায় প্রায় এক হাজার একর জমিতে বোরো চাষ করা হয়েছে। ভালো ফলন ও বোরোতে বাম্বার হওয়ার সম্ভাবনা ছিলো। অন্যান্য বারের তুলনায় এবারে কৃষকের মুখি হাসি রয়েছে। কিন্তু গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে উত্তর নলবিলা ও কাকারা ইউনিয়নের ফসলী জমিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তাছাড়া মাটির তৈরী বাধ দেওয়ায় পানি সহজে যেতে পারছে না। বর্তমানে ওইএলাকায় পানির নিচে রয়েছে শতশত একর পাকা ধান। এ অবস্থায় মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন কৃষকরা।
কৃষকরা অভিযোগ করে বলেন, উত্তর নলবিলা এলাকায় স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি মাটি দিয়ে বাঁধ দেওয়ায় সহজে পানি চলাচল করতে পারছে না। ফলে বৃষ্টির পানি জমে রয়েছে। এতে কৃষকের লাখ লাখ টাকার ক্ষতি হচ্ছে।
এদিকে কাকারা ইউপি চেয়ারম্যান শওকত ওসমান জানান, ভারিবর্ষণে কাকারা ইউনিয়নের ফসলী জমিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বোরো ধান ও ফলন ভালো হলেও বৃষ্টির কারণে লগ্নিকৃত টাকা ফিরে পাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। সেখানে মুষল ধারে বৃষ্টি হওয়ায় ওই এলাকা প্রায় একহাজার একরের পাকা ধান ঘরে তুলতে পারছে না কৃষকরা। এখনো পানির নিচে পাকা ধান।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি জমির মাঝখানে মাটির বাধ দেওয়ায় বৃষ্টির পানি সহজে যাচ্ছে না। এতে কৃষকরা পাকা ধান মাটিতে পচে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। দ্রুত বাধটি কেটে দেওয়ার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।