ঈদগাঁও সংবাদদাতা:

জালালাবাদে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পরিচয়ে এক ব্যক্তির বসতভিটার স্থাপনা ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সংঘটিত ঘটনায় ভূক্তভোগীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। যেখানে সেখানে মুক্তিযোদ্ধার নাম ব্যবহার করায় এলাকাবাসীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ ঘটনায় মহিলাসহ ৮ জন আহত হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্যে প্রকাশ, জালালাবাদ দক্ষিণ পালাকাটার মৃত নুরুল কবির গংয়ের সাথে একই এলাকার মৃত নছত আলীগংয়ের মধ্যে বসতভিটার জমি নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে। নুুরুল কবিরের লোকজন ইতোপূর্বে তাদের স্বত্বীয় জমিতে স্থাপনা তৈরী করে। বৃহষ্পতিবার আচমকা নছত আলীর লোকজন উক্ত স্থাপনা ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয়। এতে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পরিচয়ে হামিদ হাসান নামের এক যুবক অবৈধ প্রভাব খাটায়। যুবকটি নুরুল কবিরের মেয়ের জামাতা বলে জানা গেছে। তার বাড়ী ঈদগাঁও ইউনিয়নের জাগির পাড়ায়। উভয়পক্ষের সংঘর্ষে নুরুল কবিরের স্ত্রী গুলসোনা বেগমসহ ৮জন আহত হয়। অন্য আহতরা হচ্ছে মামুনুর রশিদ (মুবিন), মনির (পিতা- জুলফিকার আলী), সরওয়ার আলম, নুরুল আমিন, মিজানু রহমান, কাশেম আলী ও আবছার। আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। অবৈধ প্রভাব খাটানো যুবক নিজেকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পরিচয় দিয়ে ঘটনাস্থলে ধরাকে সরা জ্ঞানের চেষ্টা করে। এতে এলাকার লোকজন তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এক পর্যায়ে তার উপর চড়াও হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, সংঘটিত ঘটনায় বহিরাগত যুবকটি মুক্তিযোদ্ধার নাম ব্যবহার করে প্রকৃতপক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদেরই অসম্মান করেছে। তাদের মতে, যেখানে সেখানে মুক্তিযোদ্ধার নাম ব্যবহার করে ফায়সা হাসিলের চেষ্টা কোনমতে সমর্থনযোগ্য নয়। এদিকে এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। ভূক্তভোগীরা বহিরাগত যুবকের শাস্তি দাবী করেছেন।