জাহেদুল ইসলাম, লোহাগাড়া প্রতিনিধি :

চৈত্রের শেষে বৈশাখের শুরতে প্রচন্ড গরমে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে লোহাগাড়ার জনজীবন। তীব্র গরমের পাশাপাশি ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে জনজীবন আরো চরম অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। মাঠ-ঘাট, পুকুর-জলাশয় শুকিয়ে যাচ্ছে। পানির অভাবে ফসলের মাঠ শুকিয়ে নষ্ট হওয়ার উপক্রম দেখা দিচ্ছে। প্রচন্ড গরম আর অনাবৃষ্টির কারণে মানুষের প্রাণ প্রায় ওষ্ঠাগত। গরম বাতাস শরীরে লাগছে আগুনের হলকার মতো। ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই ! শিশু ছাড়াও গরমে সবচেয়ে বেশি অতিষ্ট হয়ে পড়ছেন বৃদ্ধরা। নেতিয়ে পড়ছে গাছ-গুল্ম-লতা, প্রাণিকুলও বিপর্যস্ত। এই প্রচন্ড গরমে শিশুরা গরম সহ্য করতে না পেরে উপজেলার ডলু নদীতে জমে থাকা পানিতে স্বস্তির নিঃশ্বাস পেলতে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

এদিকে, উপজেলা থেকে শুরু করে পাড়া-গাঁয়ে বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিং সীমাহীন আকার ধারণ করেছে। একদিকে তীব্র তাপদাহ অন্যদিকে লোডশেডিং এর ফলে সাধারণ মানুষের মাঝে নাভিশ্বাস উঠেছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বেসরকারি হাসপাতাল গুলোতে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অতিরিক্ত গরমে শিশু ও বয়োবৃদ্ধরা মধ্যে জ্বর, সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া ও হামসহ পানিবাহিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ফলে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা।

এদিকে, তীব্র তাপদাহের কারণে বেশী বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ ও কৃষক। সামান্য স্বস্তির ও একটু শীতল পরিবেশের জন্য ছুটছে গাছের ছায়াতলে। ছোট ছোট শিশুরা দলবেঁধে পুকুরে ও নদীতে নেমে পড়ছে গরমের তীব্রতা থেকে রক্ষা পেতে। অসহনীয় তীব্র গরমে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন।

লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ হানিফ বলেন, তীব্র তাপদাহের কারণে মানুষ ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তবে লোহাগাড়ায় এর সংখ্যা কম। তবে, তীব্র গরমে একটু সচেতন হলে এবং পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রেখে চললে এই রোগ থেকে দুরে থাকা যায়। তিনি আরো বলেন, প্রচণ্ড এই গরমে সবাইকে প্রচুর পানি ও খাওয়ার স্যালাইন গ্রহণ করতে হবে। ‘সুস্থ থাকতে হলে রাস্তার ধারে ফুটপাতে খোলা জায়গায় বিক্রি করা শষা, আখের রস, আনারস, লেবুব শরবতসহ সব ধরনের খোলা পানীয় পান থেকে বিরত থাকতে হবে। গরমে বাইরের খাবার খাওয়া একেবারেই চলবে না। ##

ক্যাপশন ঃ লোহাগাড়ায় গরমে অতীষ্ট হয়ে পানিতে দৌড়ঝাপ করছে শিশুরা।