শাহেদুল ইসলাম মনির, কুতুবদিয়া:

ক্ষতিকর জীবাশ্ম জ্বালানি বন্ধ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলার দ্বীপ সুরক্ষা আন্দোলনের প্রতিনিধিরা। তাঁরা জলবায়ু সুরক্ষা ও জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতে নবায়নযোগ্য শক্তির উল্লেখযোগ্য সম্প্রসারণ, জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধ এবং জলবায়ু সুবিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।

শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা গেইটের সামনে দ্বীপ সুরক্ষা আন্দোলন, ব্রতি ও ওয়াটার কিপার্স বাংলাদেশ এর যৌথ উদ্যাগে আয়োজিত মানববন্ধন ও সমাবেশে তারা এই দাবি জানান।

মানববন্ধন ও সমাবেশে কুতুবদিয়া দ্বীপ সুরক্ষা আন্দোলনের সভাপতি এম শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শাহেদুল ইসলাম মনিরের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শফি আলম, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কুতুবদিয়া প্রেসক্লাবে সাধারণ সম্পাদক এম এ হাছান কুতুবী, উপজেলা মৎস্যজীবি ফেডারেশনের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।

মানববন্ধন ও সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এম শহিদুল ইসলাম বলেন,জলবায়ু সংকটের জন্য আমরা দায়ী না। অতিরিক্ত মাত্রায় জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম কারণ। জীবাশ্ম জ্বালানি ক্লিন এনার্জি না। তাই জীবাশ্ম জ্বালানি নীতি পরিহার করে নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতি গ্রহণ করতে হবে। দেশের সকল জনগনের জন্য সুলভ, সাশ্রয়ী এবং পরিবেশবান্ধব জ্বালানি সরবরাহে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পরিবেশ প্রান প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে জীবাশ্ম জ্বালানিমুক্ত জলবায়ু ন্যায্যতার দাবী অপরিহার্য।

এদিকে, ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলের দাবি জানিয়ে অন্যান্যরা বলেন,আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা ও জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্থদের দাবির প্রেক্ষিতে ২০২৩ সালের কপ-২৭ সম্মেলনে ৮০টিরও বেশি দেশের প্রতিনিধিরা পর্যায়ক্রমে কয়লা নির্ভর জ্বালানি ব্যবস্থা হতে বেরিয়ে আসবে। এর আগে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা জলবায়ু পরিবর্তন রোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে চাইলেও অর্থনৈতিক ও ব্যাবসায়িক স্বার্থরক্ষায় বহু দেশের বিরোধীতায় সেসকল উদ্যোগ বাস্তবায়ন হয়নি। বিশেষ করে ধনী দেশগুলোর বিরোধীতার ফলে ওই সকল পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছে। বরং বিভিন্ন বৈশ্বিক ফোরাম ও সম্মেলনে জলবায়ু কূটনীতিতেও নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করাই বিশ্বের অর্থনৈতিক ও সামরিক শক্তিসম্পন্ন দেশগুলো প্রধান লক্ষ্যে পরিণত হয়েছে।