গিজার হলো ইলেক্ট্রিক ওয়াটার হিটার। এর সাহায্যে খুব সহজেই এবং কম সময়ে পানি গরম করে নেওয়া যায়। জলদি পানি গরম করে নিতে গিজারের বিকল্প নেই। তবে শীতকালেই গিজার যন্ত্রটির ব্যবহার সবচেয়ে বেশি।এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হল গিজারের পানি একবার গরম হলে তা বেশ কিছুক্ষণ ধরে ব্যবহার করা যায়। এতে করে বারবার পানি গরম করার জন্য বাড়তি বিদ্যুৎ খরচও হয় না। আর তাই চুলা কিংবা ইলেক্ট্রিক্যাল ওয়াটার হিটার বা গিজার বেশ জনপ্রিয়। চলুন জেনে নিই গিজারের ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণ সম্পর্কে।

গিজারের ব্যবহার:
• গিজার নিজের মতোই চলে। বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়ার পর পানি গরম হয়ে গেলে তা একা একাই বন্ধ হয়ে যায়।
• গিজারে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পানি গরম হয়।
• পানি গরম হয়ে যাওয়ার পর গিজার বন্ধ রাখতে হবে। এতে যেমন বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। তেমন দীর্ঘদিন ভাল থাকবে গিজার।
• স্মার্ট কানেক্টিভিটি-যুক্ত ওয়াটার গিজারগুলো ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্টের দ্বারা খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

গিজারের যত্ন:
• গিজার বসানোর জন্য অবশ্যই কোন পেশাদার এবং দক্ষ ব্যক্তির সহায়তা নেয়া প্রয়োজন।
• গিজার বসানোর জন্য উঁচু কোন জায়গা নির্ধারণ করতে হবে।মেঝে থেকে কমপক্ষে ১.৮ মিটার বা ৬ ফুট উচ্চতায় গিজারটি ইনস্টল করা উচিত। তবে গিজারটি চালু বা বন্ধ করার জন্য এর সুইচ যেন হাতের নাগালে থাকে সে বিষয়টিও খেয়াল রাখা প্রয়োজন।
• গিজার বসানোর পর এর সাথে যুক্ত সকল ইলেকট্রিক্যাল লাইন যথাযথ আছে কিনা, তা গুরুত্বের সাথে পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
• বিদ্যুতের অপচয় রোধ করতে গিজারের তাপমাত্রা কমিয়ে রাখুন। এতে করে পানি দ্রুত গরমও হবে এবং মেশিনের উপর অতিরিক্ত চাপও পড়বে না। এমনকি এতে করে গিজার মেরামতে ঘন ঘন টাকা খরচও করতে হবে না।
• বাড়ির গিজারটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখুন।
• বছরে অন্তত একবার প্রেসার ভালভ চেক করা জরুরি, যেন এর ভেতরে কোনো লিক বা ছিদ্র হচ্ছে কিনা তা পরীক্ষা করে বের করা যায়।
• পাওয়ার সকেট এবং প্লাগ এর মধ্যে কোন পোড়া দাগ রয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখুন। শর্ট সার্কিট থেকে কোনো ঝলসানো চিহ্ন যদি আপনার চোখে পড়ে, তাহলে একটি ক্ষুদ্র সার্কিট ব্রেকার ব্যবহার করতে পারেন।
• পানি গরম হয়ে গেলে গিজার থেকে পুরো পানি বের করে নিন। পানি ভেতরে জমে থাকলে গিজারে আয়রন জমে গিয়ে তা খুব তাড়াতাড়ি খারাপ হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে।
• সারা বছর মাঝে মাঝে গিজার ব্যবহার করুন। যাতে ভিতরে আয়রন জমতে না পারে।
• সেফটি বাল্ব বছরে অন্তত এক বার অভিজ্ঞ কর্মীদের দিয়ে পরীক্ষা করাতে হবে।
• অটো-কাটঅফ ও সেফটি ভালভ ফিচার সমৃদ্ধ গিজার কেনা ভালো।
• ত্রুটিযুক্ত গিজার থাকলে তা দ্রুত ঠিক করার ব্যবস্থা করুন। না হলে এটি ব্যবহারের ফলে বিপদ ঘটতে পারে।

বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন আকারের এবং দামের গিজার পাওয়া যায়। ধারণ ক্ষমতা (লিটার) ভেদে গিজারের মূল্য বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। তাই বাজেট ও চাহিদা অনুযায়ী পছন্দমত গিজার বেছে নিতে পারেন।