সিবিএন ডেস্ক:
আফগানিস্তানে আটকে পড়া ইউক্রেনবাসীকে উদ্ধার করতে যাওয়া ইউক্রেনের বিমান ছিনতাইয়ের দাবি করেছে রাশিয়ান বার্তা সংস্থা তাস। সশস্ত্র অপহরণকারীরা ছিনতাইয়ের পর বিমানটিকে ইরানে উড়িয়ে নিয়ে যায় বলে দাবি করে তারা।

রাশিয়ার বার্তা সংস্থার প্রতিবেদন অনুসারে ইউক্রেনের ডেপুটি ফরেন মিনিস্টার ইয়েভগেনি ইয়েনিন ঘটনার কথা নিশ্চিত করলেও পরবর্তীতে বিমানটি ছিনতাইয়ের অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইউক্রেন।

ইউক্রেনিয়ান বার্তা সংস্থা আরবিসির প্রতিবেদন অনুসারে, ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র ডেপুটি ফরেন মিনিস্টারের বক্তব্যকে ভিত্তিহীন দাবি করেন।

এর আগে রাশিয়ার বার্তা সংস্থাকে ইয়েভগেনি ইয়েনিন জানান, গত রোববার কয়েকজন ব্যক্তি আমাদের বিমান ছিনতাই করে। মঙ্গলবার প্রকৃতপক্ষেই বিমানটি চুরি করে ইউক্রেনিয়ানদের পরিবর্তে অজ্ঞাত কয়েকজন যাত্রীকে নিয়ে বিমান ইরানের উদ্দেশ্যে উড়ে যায়।

এর আগে চলতি মাসের ৩১ তারিখের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনা ও নাগরিককে ধাপে ধাপে প্রত্যাহার করার ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। সরিয়ে নেয়ার কথা ছিল দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা করা আফগানদেরও। তবে তার আগেই ১৫ আগস্ট দেশটি তালেবানের দখলে চলে যায়।

তারপরই হাজার হাজার আফগান মরিয়া হয়ে দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করছে। বিভিন্ন দেশের সরকার তাদের নাগরিক এবং আফগান সহযোগীদের সরিয়ে নিচ্ছে। কাবুল বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে সাড়ে চার হাজার মার্কিন সেনা। এদের সঙ্গে ৯০০ ব্রিটিশ সেনাও আছে।

এদিকে তালেবানরা বিমানবন্দরের চারপাশে চেকপোস্ট পরিচালনা করছে এবং ভ্রমণের কাগজপত্র ছাড়া আফগানদের প্রবেশে বাধা দিচ্ছে। তবে বিদেশি নাগরিক ও কর্মীদের কাজগপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পর ছেড়ে দেয়া হচ্ছে বলে দাবি করেছে তারা।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা আসলে দেশজুড়ে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে তালেবান যোদ্ধারা। মাত্র ১০ দিনের ব্যবধানে আফগানিস্তানের ৩৪টি প্রদেশ দখলের পর গত ১৫ আগস্ট কাবুল দখলের মাধ্যমে কার্যত আফগানিস্তানের দখল নেয় তালেবানরা। এভাবেই ২০০১ সালে ক্ষমতাচ্যুত হওয়া তালেবানরা ২০ বছর ধরে সংগ্রাম চালিয়ে ফের ক্ষমতা আসে দেশটির। সূত্র : আল-আরাবিয়া