সাতকানিয়ায় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

সাতকানিয়া প্রতিনিনিধিঃ

রাজাকার কমান্ডার আবদুল মোনাফ কোম্পানীর নাতী এরফানুর রহমান সুমনকে উত্তর সাতকানিয়া সাংগঠনিক থানা শাখার স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি করায় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের পক্ষ থেকে আজ (২৪ জুলাই) শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় কালিয়াইশ ইউনিয়নের রাজমহল কমিউনিটি সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পেশ করেন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কাদেরের ভাগিনা রাশেদ হোসাইন রুবেল। সংবাদ সম্মেলনে রাজাকারের নাতী এরফানুর রহমান সুমনকে উত্তর সাতকানিয়া সাংগঠনিক থানা শাখার স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতির পদ থেকে অনতিবিলম্বে বহিষ্কার করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় লালিত স্বেচ্ছাসেবকলীগকে রাজাকার ও হাইব্রীড মুক্ত করার দাবী জানান। তাছাড়া শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কাদেরের পরিবার সংবাদ সম্মেলনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মানবতার মা ও জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে রাজাকারের নাতীকে স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি করার পেছনে ইন্দনদাতা ও জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ারও দাবী জানানো হয়। লিখিত বক্তব্যে রাশেদ হোসাইন রুবেল আরো বলেন, সুমন নিজের আসল পরিচয় গোপন করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে এ পদ ক্রয় করেছেন। তাছাড়া সুমন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করছেন তিনি উত্তর সাতকানিয়া জাফর আহমদ চৌধুরী কলেজের ছাত্রলীগ সভাপতি ছিলেন। যা’ একটি ডাহা মিথ্যা কথা। সুমন নিজেকে জাফর আহমদ কলেজের সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি পরিচয় দিলেও তিনি কখনো ওই কলেজের সভাপতি ছিলেন না। তাছাড়া তিনি আদো ওই কলেজে পড়াশুনা করেছেন কিনা তা’ নিয়েও এলাকায় যথেষ্ট সন্দেহ আছে। জাফর আহমদ চৌধুরী কলেজের একাধিক সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা বলেছেন, সুমন কখনো ওই কলেজের সভাপতিতো দুরের কথা তিনি কখনো ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথেও সংশ্লিষ্ট ছিলেন না। এ বিষয়ে ওই কলেজের বেশ কয়েকজন সাবেক সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক কমিটির লিষ্টসহ ফেজবুকে বহু বিবৃতি দিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে রোবেল লিখিত বক্তব্যে বলেন, এই রাজাকার কমান্ডার আবুদল মোনাফ অর্থাৎ সুমনের দাদা এডভোকেট আহমদ হোসেন মোক্তার, মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কাদের, মুহুরী পাড়ার সফদর মিয়ার পুত্র মো. আবু ইউচুপ ও যুব রক্ষিত কে ভাড়াটিয়া গুন্ডা ও বাড়িতে ডাকাত ঢুকিয়ে হত্যা করে। এখানেই শেষ নয় রাজাকার আবদুল মোনাফ ধর্মপুর ইউনিয়নের দৌয়াড়ি বৈদ্যকে দক্ষিণ কালিয়াইশ বাদল মাষ্টারের বাড়িতে এনে ঘরে তালা লাগিয়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারে। শুধু তাই নয়, সুমনের দাদা কুখ্যাত রাজাকার কমান্ডার আবদুল মোনাফ কোম্পানী ১৯৭১ সালে উপজেলার কাটগড় বিওসি মোড় এলাকা যখন হানাদারমুক্ত হয় তখন মুক্তিযোদ্ধারা স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করলে মুক্তিযোদ্ধাদের হামলা করে পতাকা পুড়িয়ে দেয়। মোনাফ কোম্পানি এলাকায় স্থাপন করেছিলেন মুক্তিযোদ্ধা টর্চার সেল। বর্তমান হাইব্রীড স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি এরফানুর রহমান সুমনের বাবা ইউনিয়ন বিএনপির উপদেষ্টা ও পৃষ্টপোষক ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান রাশেদ হোসাইন রুবেল, আবুল হোসেন কালিয়াইশী, আবদুল গফুর মুক্তা, এরফান উদ্দিন তালুকদার, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সামশুল ইসলাম, মীর আহমদ ও হাবিব চৌধুরীসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।