আলমগীর মানিক,রাঙামাটি :
রাঙামাটির রাজস্থলীর উচুঁ-নিচু পাহারের সবুজ প্রকৃতির মাঝে উকি দিচ্ছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যার উপহারের লাল সবুজ ঘর। উপজেলার মানসিক ভারসাম্যহীন, প্রতিবন্ধী, স্বামীহারা বিধবা নারীসহ ২৩৯টি অসহায় হতদরিদ্র গৃহ ও ভূমিহীন পরিবার পেয়েছে তাদের স্বপ্নের নীড়, পেয়েছেন বেঁচে থাকার অফুরন্ত রশদ। রাঙামাটি জেলাপ্রশাসনের সার্বিক তদারকিতে রাজস্থলী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠায় পাহাড়ি অঞ্চল রাজস্থলীতে স্বপ্নের নীড়ে উঠলো ২৩৯টি পরিবার। উপজেলার দূর্গম ছোট কুক্যাছড়ি, বড় কুক্যাছড়ি, মদন কারবারি পাড়া, ঝরঝরি পাড়া, নাইক্ষছড়া, আগা পাড়ায় মানসিক ভারসাম্যহীন, প্রতিবন্ধী বিধবা নারীসহ অসহায় মানুষদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার পৌঁছে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে দূর্গম রাজস্থলীতে বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যেও উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির তত্বাবধানে ঘরগুলো অত্যন্ত মানসম্মতভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
উপকারভোগী চিনামনি তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, আমার একটা মেয়ে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, আমার সংসারে উপার্জন করার মত কেউ নেই,অশ্রুসিক্ত নয়নে বললেন সরকারি ঘর পেয়ে তিনি খুবই আনন্দিত তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান তিনি। আবেগাপ্লত কণ্ঠে একাধিক উপকারভোগী জানান, সারাজীবনের চেষ্টায়ও যে মাথা গোজার ঠাঁই করতে পারেননি, অনায়াসে স্বপ্নের সেই বসত ঘর পেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতেও ভূলেননি তারা।
রাজস্থলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ ছাদেক বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের অধীনে ২৩৯টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারের জন্য গৃহ নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। ১ম পর্যায়ে ২য় ধাপে ১৯০টি এবং ২য় পর্যায়ে ৪৯টি। বিভিন্ন সময়ে এসমস্ত ঘরগুলো পরিদর্শন করেন রাঙামাটি জেলার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকবৃন্দ এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উপসচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা। তারা সকলেই ঘরগুলোর গুণগত মান নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
এবং তিনি আরো বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে কাজ করছেন তার কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষরা কোথায় থাকতো, কিভাবে দিন কাটাতো তাদের কষ্টের কথা চিন্তা করে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী যে উদ্যোগ নিয়েছেন সেটির ফল আজ ভোগ করছেন পাহাড়ের এসব মানুষ।’ এখনো যারা গৃহহীন ও ভূমিহীন রয়েছে তাদের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আরো ঘর বরাদ্দ প্রদানের প্রক্রিয়া চলমান, তাই আগামীতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে।