সিবিএন ডেস্ক: আফগানিস্তান থেকে মার্কিন ও ন্যাটো সামরিক জোটের সেনা সদস্যদের প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ। তিনি বলেছেন, এ সিদ্ধান্তের ফলে দেশটির নিরীহ মানুষকে কট্টরপন্থি তালেবান গোষ্ঠীর ‘হত্যাকাণ্ডের’ মুখে পড়তে হবে।
স্থানীয় সময় বুধবার জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেন জর্জ ডব্লিউ বুশ। চলতি বছরের জুনে আফগানিস্তান থেকে চূড়ান্ত পর্যায়ে সেনা প্রত্যাহার শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো। আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেশটি থেকে সব সেনা সরিয়ে নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
বুশ বলেন, ‘আমি আশঙ্কা করছি যে, আফগান নারী ও মেয়েরা অবর্ণনীয় ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে,’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘অনুবাদক এবং অন্যান্য লোকদের জন্যও তিনি উদ্বিগ্ন, যারা আফগানিস্তানে বিদেশি সেনাদের সমর্থন দিয়েছিলেন। এই নিষ্ঠুর লোকদের (তালেবান) দ্বারা তাদের হত্যার শিকার হওয়ার জন্য ছেড়ে দেওয়া হলো এবং এটি আমার হৃদয় ভেঙে দিচ্ছে।’
চলতি বছরের এপ্রিলে আফগানিস্তান থেকে চূড়ান্ত ধাপে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের কথা জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সে সময় দেশটিতে দুই হাজার ৫০০ মার্কিন সেনা এবং সাত হাজার ৫০০ ন্যাটো সেনা সদস্য অবস্থান করছিল।
![](https://www.ntvbd.com/sites/default/files/styles/infograph/public/images/2021/07/14/capture_0.jpg?itok=0Tf6FBI1×tamp=1626270140 574w)
এদিকে মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনীর সদস্যরা আফগানিস্তান ছাড়তে শুরু করায় আফগানিস্তানে সংঘাত বেড়েছে। তালেবান চাইছে পশ্চিমা-সমর্থিত আফগান সরকারকে উৎখাত করতে। এর জের ধরে আফগান সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে হতাহত হয়েছে বহু।
আফগানিস্তানের বেশির ভাগ অঞ্চল দখলের দাবি করেছে তালেবান। এ কারণে আফগান বাহিনীর সদস্যরা দেশ ছেড়ে পালাতেও বাধ্য হচ্ছেন।
আফগানিস্তানে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিল তালেবান সরকার। কিন্তু নাইন-ইলেভেনের পর আফগানিস্তানে হামলা চালায় মার্কিন বাহিনী। সে সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন জর্জ ডব্লিউ বুশ। এরপর দেশটিতে মার্কিন সেনা ছাড়াও ন্যাটোর সেনারা অবস্থান নেন।